Over-nursing (স্তন্যদান জনিত অসুখ) :-শিশুকে দীঘদিন যাবত বুকের দুধ খাওয়ার কারণে স্তন্যদানকারী মায়েদের বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন- পিঠে খিল ধরা ব্যথা, ক্লান্তি বা দুর্বলতা, মাথা ঘুরানি, আরামহীন ঘুম, চোখে ঝাপসা দেখা, ক্ষুধাহীনতা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড়ানি ইত্যাদি। এই সব সমস্যার সাথেও স্তন্যদান চালিয়ে যেতে থাকলে এক সময় সে ফ্যাকাসে হয়ে পড়ে, শীণ বা চিকন হয়ে পড়ে, রাতে ঘাম দেয়, হাটু ফুলে যায় এবং নার্ভাসনেস দেখা দেয়। সাধারণত ঘনঘন বা বেশী বেশী বুকের দুধ খাওয়ানো, জন্মগত শারীরিক দুর্বলতা, অপুষ্টি, রক্তক্ষরণ, গর্ভপাত, সাদাস্রাব, অতিরিক্ত পরিশ্রম ইত্যাদি নানা কারণে এই সমস্যাগুলো হতে পারে।
China officinalis : চায়না বা সিনকোনা নামক ঔষধটি ক্ষয়জনিত দুর্বলতা বা যে-কোন রোগ নিরাময়ে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। যেমন – অত্যধিক স্তন্যদান, অত্যধিক রক্তক্ষরণ, অত্যধিক বীর্যপাত, অত্যধিক ঋতুস্রাব, অত্যধিক পাতলা পায়খানা, অত্যধিক সাদাস্রাব, অত্যধিক বমি ইত্যাদি ইত্যাদি কারণে দুর্বলতা দেখা দিলে বা অন্য যে-কোন রোগ দেখা তাতে প্রথমেই চায়নার কথা মনে রাখবেন।
Alfalfa : আলফালফা ঔষধটি নিয়মিত অনেকদিন খেলে ক্ষুধা, ঘুম, ওজন, হজমশক্তি ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। নিম্নশক্তিতে (Q) দশ ফোটা করে রোজ তিনবার করে খেতে পারেন। দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ-ষাট ফোটা করে খেতে পারেন। তবে কোন সমস্যা হলে কমিয়ে খাওয়া উচিত। ইহার স্বাদ যেহেতু খারাপ সেহেতু শিশুদেরকে চিনি বা গুড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
Phosphoricum acidum :শোক, দুঃখ, বিরহ, প্রেমে ব্যর্থতা, মারাত্মক ধরণের অসুখে (যেমন-টাইফয়েড) ভোগে শরীরের বারোটা বেজে যাওয়া,মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যে-কোন রোগ হলে, তাতে ফসফরিক এসিড ঔষধটি খেতে হয়। ফসফরিক এসিডের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো নির্বোধের মতোঅর্থাৎ বোধশক্তিহীনের মতো পড়ে থাকে, মনে হয় গভীর ঘুমে অচেতন কিন্তু ডাকলে সে হুশ ফিরে পায়, প্রচুর পাতলা পায়খানায়ও শরীর দুর্বল হয় না, রাতের বেলা ঘনঘন প্রস্রাব, গলা শুকিয়ে থাকে, কথা বললে-কাশলে-অনেকক্ষণ বসে থাকলে বুকে দুর্বল লাগে, মাথার তালুতে-কপালে-বুকের ওপর ভারী ভারী লাগে, অত্যধিক গ্যাস জমে পেট ফেঁপে থাকেইত্যাদি ইত্যাদি।
Kali phosphoricum :ক্যালি ফস দুর্বলতারএকটি সেরা ঔষধ। বিভিন্ন কঠিন রোগ ভোগ, অত্যধিক শারীরিক-মানসিক পরিশ্রম, অপুষ্টি, দীর্ঘদিন যাবত স্তন্যদান করা ইত্যাদির মাধ্যমে সৃষ্ট দুর্বলতায় (বা অন্যকোন রোগে) ক্যালি ফস খেতে হয়।মাঝে মাঝে সপ্তাহ খানেক বিরতি দিয়ে দীর্ঘদিন খান। হৃদপিন্ড, স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের উপর ইহার প্রশান্তিকারক ক্রিয়া বিদ্যমান। তাছাড়া যেহেতু এটি একটি ভিটামিন জাতীয় ঔষধ, তাই ইহার কোন ক্ষতিকর সাইড-ইফেক্ট নাই বললেই চলে।
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
ফেসবুক পেইজে লাইক দিন https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall