![](https://zamanhomeo.com/wp-content/uploads/2023/01/bangladesh-bank.png)
মা হওয়ার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ভালো। এতে গর্ভধারণের পর বেশ কিছু জটিলতা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। অনেক সময় গর্ভধারণের পরিকল্পনার সময় কিছু ভুল হয়ে যায়। এর ফলে গর্ভধারণের পর নানা সমস্যায় পড়তে হয়। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের নানারকম শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, কিছু পরিকল্পনা আগে থেকেই করা ভালো।
![](https://zamanhomeo.com/wp-content/uploads/2020/06/497066_182.jpg)
চলুন জেনে নিন, গর্ভবতী হওয়ার আগে যে যে বিষয়গুলোতে মনযোগী হওয়া উচিত-
মা হওয়ার পরিকল্পনা শুরু করতে হলে সবচেয়ে আগে নিজের শারীরিক সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। বেশ কিছু রোগ জিনে প্রচ্ছন্ন থাকে। যা শিশুর জিনে গিয়ে প্রকট হওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই এই সময় মায়ের পাশাপাশি বাবাকেও কিছু পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
ডায়াবিটিস, হাঁপানি, কিডনির সমস্যা, থাইরয়েড, হৃদরোগের মতো জটিল সমস্যা থাকলে অবশ্যই গর্ভধারণের আগে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, সিফিলিসের মতোযৌন সংক্রমক রোগ থাকলে তারও পরীক্ষা করাতে হবে। এতে গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় শিশুর মধ্যে এই সংক্রমণ যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
ফাইব্রয়েড এবং এন্ডোমেট্রিওসিসের কোনো সম্ভাব্য রোগের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া।
পরিবারের কারো যদি ডাউন সিনড্রোম বা থ্যালাসেমিয়ার মতো জিনবাহিত রোগের ইতিহাস থেকে থাকে, তবে আগে থেকে তা চিকিৎসককে জানানো। এ ছাড়াও, বাবা মা দুজনেরই একবার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া।
মূত্রনালীতে যদি কোনো সংক্রমণ হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে তবে আগে থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন। সমস্যা পাওয়া গেলে গর্ভধারণের আগে ভালো মতো চিকিৎসা করে নিতে হবে।
ওজন যদি বেশি হয় অর্থাৎ বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ২৩ বা তার বেশি হলে, চিকিৎসক সাধারণত ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর নির্দিষ্ট বিএমআই-এর চেয়ে যদি কম ওজন হলে আপনার বিএমআই বাড়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। বিএমআই সাধারণত ১৮.৫ এবং ২২.৯ এর মধ্যে থাকা উচিত।
![](https://zamanhomeo.com/wp-content/uploads/2023/01/246841734_955258031999863_4722502703646787560_n.gif)