অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়ে অনেক নারীরা কষ্টে ভোগেন। তারিখ পেরিয়ে গেলেও পিরিয়ড হতে সবসময়ই দেরি হওয়াই অনিয়মিত পিরিয়ডের লক্ষণ। সাধারণত অনেক বেশি স্ট্রেস, পরিশ্রম, দুর্বলতা, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসব কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। এর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ খেয়েও কোনো সমাধান পান না এমন নারীর সংখ্যা কম নয়। তাই জেনে নিন কিছু ঘরোয়া খাবারের নাম যা কমাতে পারে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা।
আদা
আদা অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক করার পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন পেটের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। আধা চা চামচ আদা কুঁচি এক কাপ পানিতে ৬ থেকে ৭ মিনিট ফুটিয়ে মেশান সামান্য চিনি বা মধু। দিনে তিনবার খাওয়ার পরে এই মিশ্রণটি এক মাস খেতে হবে।
হলুদ
হালকা গরম দুধের সাথে মেশান ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো। হালকা গরম থাকতেই খেয়ে নিন। প্রতিদিন খেলে অবশ্যই পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
ধনিয়া
দুই কাপ পানিতে এক চা চামচ আস্ত ধনিয়া দিয়ে অল্প আঁচে পানিটা ফুটিয়ে নিন। পানি কমে অর্ধেক হলে তা খেতে হবে। পিরিয়ডের তারিখ আসার আগের সপ্তাহ থেকে দিনে তিনবার এই পানি খান।
তুলসি পাতা
এক চামচ তুলসি পাতার রস, ৫-৬ ফোঁটা লেবুর রস, এক চামচ মধু আর ছোট এক কাপ পানি মিশিয়ে নিন, সাথে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে দুই বার খান।
দারুচিনি
দারুচিনি অনিয়মিত পিরিয়ডের পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন পেটের ব্যথাও কমায়। আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো দুধের সাথে মিলিয়ে খেতে পারেন। অথবা নিয়মিত চায়ের সাথে দারুচিনি দিতে পারেন।
গাজর
গাজর আয়রনের একটি ভাল উৎস। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা কমাতে এক গ্লাস গাজরের রস প্রতিদিন খেতে হবে তিনমাস পর্যন্ত ।
কুঁচি ধনেপাতা
ধনেপাতার রস পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে খুব উপকারি। ধনেপাতার রস খেতে না পারলে, ধনেপাতা বাটা খেতে পারেন ভাতের সাথে।
করলার রস
পিরিয়ডের সমস্যা সমাধানে করলার রস কার্যকরি। দিনে একবার বা সম্ভব হলে দুবার করলার রস খান টানা কয়েক সপ্তাহ।
ভিটামিন সি
অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খুব ভাল। পিরিয়ডের আগের সপ্তাহ থেকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
পুদিনা পাতা
এক চামচ মধুর সাথে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে দিনে তিনবার খেতে হবে একটানা কয়েক সপ্তাহ।
এর পাশাপাশি আরো যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া।
শরীরের ওজন ঠিক রাখা ও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করা।
ধূমপান বা অন্য কোনো অ্যালকোহলিক পানীয় না খাওয়া।