কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ এক বা একাধিক অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, আড়ষ্ঠভাব প্রকাশ পায়। সাধারণত হাত ও পা প্রথমে আক্রান্ত হয় আবার কখনও শুধু একটি সন্ধি আক্রান্ত হলে বাত হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়।
প্রকার ভেদ : অস্থিসন্ধি বাত প্রধানতঃ দুই প্রকার- ক. তরুণ অস্থিসন্ধি বাত, খ. পুরনো অস্থিসন্ধি বাত। যেমন- হাঁটু, কনুই, উরুর সন্ধি আক্রান্ত হয়। মাঝে মাঝে এই লক্ষণগুলো মারাত্মকভাবে দেখা দেয় এবং রোগী অচল হয়ে পড়ে। এটাই অস্থিসন্ধি বাত।
এতে অস্থিসন্ধির সাইনোভিয়াল মেমব্রেন ও সন্ধির উপরিস্থ টিস্যুতে ইউরিক এসিড এবং অন্যান্য বস্তু নিবদ্ধ হয়ে সন্ধিসমূহে তীব্র প্রদাহ এবং তার চারপাশে ইউরেট অব সোডা সঞ্চিত হয়ে সন্ধিসমূহের বিকৃতি, কাঠিন্য, দৃঢ়তা বা ঘনত্ব কমে যায়। তরুনাস্থি, অস্থি ও মাংসপেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
অস্থিসন্ধি বাতের কারণতত্ত্ব : সঠিক কারণ এখনও অজানা। নিম্নলিখিত কারণগুলো রোগ সৃষ্টির জন্য বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
* সাধারণতঃ বয়স চল্লিশের বেশি। পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রী লোকদের ক্ষেত্রে অধিক।
* বংশগত কারণ। ঠাণ্ডা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে বসবাস। দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক অস্থিরতা।
* অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম। সন্ধিতে ইউরেট অব সোডা সঞ্চিত হওয়া।
* দীর্ঘদিন যাবৎ পুঁজস্রাব, দাঁত ও মাড়ির রোগ, প্রমেহ, শ্বেত প্রদর থাকলে।
* অতিরিক্ত মদ ও প্রোটিন গ্রহণের ফলে।
শারীরিক পরিবর্তন, দৈহিক বিকৃতি ও উপসর্গ
* দুর্বলতা, সামান্য পরিশ্রমে হাঁপিয়ে উঠা, হাতে-পায়ে মাঝে মাঝে ব্যথা অনুভব করা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া।
* আঙুলের ছোট ছোট সন্ধি, কব্জি, পায়ের গোড়ালি এবং মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব হয়।
* জ্বরসহ আক্রান্ত সন্ধি লাল, সন্ধিস্থল স্ফীত, শক্ত ও নড়াচড়ায় শব্দ, পারিপার্শ্বিক পেশিগুলোর শীর্ণতা, বিকৃত অবস্থা এবং পেশিবন্ধনীতে ক্ষুদ্রগুটিকা বা স্ফীত দেখা যায়।
* রক্তস্বল্পতা, রক্তে শ্বেতকণিকার বৃদ্ধি এবং এলবুমেন হ্রাস পায়।
* রক্তনালিতে প্রদাহের জন্য হাতের আঙুুলের ডগায় বেদনাযুক্ত দাগ দেখা দেয় বা দীর্ঘস্থায়ী পক্ষাঘাত হয়।
* শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
* অক্ষিগোলকের প্রদাহহেতু দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত ঘটায়।
জটিলতা
দীর্ঘদিন যাবৎ সন্ধিবাতে ভুগলে শারীরিক বিকৃতি ঘটে। আক্রান্ত সন্ধির বন্ধনী, সাইনোভিয়াল ঝিল্লি এবং অস্থিগুলো শীর্ণ অথবা বর্ধিত হতে পারে। চর্মের নিচে গুটিকা ও রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। সর্বোপরি বিকলাঙ্গ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।
চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে মেডিসিন খাবেন, নিজে নিজের ডাক্তারি করবেন না,কারন রোগীর রোগের লক্ষন মিলতে হবে অন্যথায় উপকার পাওয়া যাবে না।
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com