অ্যালার্জি জনিত হাঁপানি এর লক্ষণ ও কারণ

images (3)অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এ ধরনের হাঁপানি শ্বাস পথের শ্লেষ্মা ঝিল্লির অতি সংবেদনশীলতার জন্য হতে পারে। শ্লেষ্মা ঝিল্লির উত্তেজনা ঘটতে পারে নানাভাবে নানা দিক থেকে। যেমন- পরাগরেণু, নানা জাতের ছত্রাক ও ছাতাপড়া জিনিস, ঘরের ভেতরের ধূলিকণা, কয়েক প্রকার খাবার, পোকামাকড়ের হুলের বিষ বা তাদের শরীরের কোনো অংশ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও হাঁপানির আক্রমণ হতে দেখা যায়। অ্যালার্জির কারণে হাঁপানির আক্রমণ সাধারণত শৈশবকালে ঘটে।

অ্যালার্জি জনিত হাঁপানি লক্ষণ প্রকাশের ধরন
বেশির ভাগ হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট হঠাৎ শুরু হয়; সাথে থাকে শুকনো কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শাঁ শাঁ শব্দ (Wheeze)। অল্প পরে শ্বাসের কষ্ট আরো বেড়ে যায় এবং বুুকের মধ্যে চাপ সৃষ্টি হয়। প্রশ্বাসের সময় শ্বাসনালীর ব্যাস আরো সরু হয়ে যায় এবং সেই সরু নালীল মধ্যে বাতাস চলাচলের সময় বাঁশির মতো আওয়াজ শোনা যায়। এ ধরনের শ্বাসকষ্ট সাধারণত হয় রাতে এবং তখন রোগী উঠে বসে থাকে। বেশির ভাগ রোগীর শ্বাসকষ্ট শেষ রাতে বাড়তে দেখা যায়।

হাঁপানিকারক কারণ
১. অ্যালার্জিকারক (ঘরের ধুলো, পরাগরেণু, পোষা প্রাণীর পশম বা পালকের আঁশ, ত্বকের মামড়ি প্রভৃতি)।
২. জ্বালাকারক বা উত্তেজক (ধোঁয়া, তীব্র গন্ধ, বিভিন্ন বস্তুর বাষ্প)।
৩. জীবাণু সংক্রমণ (নাক, গলা ও বুকে ভাইরাস সংক্রমণ)।
৪. ব্যায়াম, অতিপরিশ্রম।
৫. শীতল বায়ু, আবহাওয়ার পরিবর্তন।
৬. মানসিক চাপ ও অবসাদ।
৭. পেশাগত সংস্পর্শ (রাসায়নিক সামগ্রী, রঞ্জক, ডিটারজেন্ট প্রভৃতি)।
৮. ওষুধ (বিটা প্রতিবন্ধক, যেমন- প্রপ্রানল জাতীয় ওষুধ, ব্যথা প্রশমক, যেমন- অ্যাসপিরিন প্রভৃতি)।
৯. খাদ্যের সংরক্ষণ বা গুণগত সমৃদ্ধকারী বস্তু (মেটাবাইসালফেট)।
১০. রঙ করা খাদ্য (মেযন- হলুদ রঙের জন্য টারটারাজিন।

আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জি
আবহাওয়া পরিবর্তনকালে অনেকের হাঁপানি আক্রমণ হতে দেখা যায়। কারো কারো ঠাণ্ডা বাতাস লাগলে হাঁচি হয়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, আবার কখনো কখনো হাঁপানি দেখা দেয়। ঠাণ্ডা পানি পান করলে, ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে কারো কারো হাঁপানির আক্রমণ হয়ে থাকে। ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা-গরমের তারতম্যের কারণেও কারো কারো হাঁপানির আক্রমণ প্রকট হতে পারে। শিশুদের মধ্যে শীতকালেই হাঁপানি হতে বেশি দেখা যায়। আমাদের দেশে শীতের শুরুতে, শীতের শেষ এবং অতিরিক্ত গরমে অ্যাজমার প্রকোপ বেশি হতে দেখা যায়।

ওষুধজনিত অ্যালার্জি
কোনো কোনো রোগের চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথিক কিছু ওষুধ শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যেমন অ্যাড্রিনার্জিক, যা স্নায়ু শ্বাসনালীকে প্রসারিত করে। বিটাব্লকার বিশেষত প্রপ্রানল জাতীয় ওষুধ অ্যাড্রিনার্জিক স্নায়ুর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে এ জাতীয় ওষুধ খেলে অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধও শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে। বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন- টেট্রাসাইক্লিন) ও কেমোথেরাপিউটিক ওষুধ ব্যবহারে অ্যালার্জিঘটিত প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়। ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়

চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ একমাত্র চিকিৎসা,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *