আইবিএস চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি কার্যকর

imagesআইবিএস মারাত্মক কোনো রোগ নয়। তবু এ রোগ মানবজীবনকে করে তোলে অস্বস্তিকর ও বিষাদময়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচজনে একজন আক্রান্ত হয় এ রোগে। আমাদের দেশেও এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। সাধারণত অন্ত্রের নড়াচড়ার তারতম্যের কারণে এ রোগ দেখা দেয়। তবে এ রোগ কেন হয়, তার সঠিক কারণ জানা না গেলেও কিছু কিছু ফ্যাক্টর এ রোগের লক্ষণ বাড়িয়ে দেয়। চকোলেট, দুধ, অ্যালকোহল, কিছু ফলমূল খেলে সমস্যা বেড়ে যায়। মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা, ভয়-ভীতি এ রোগের লক্ষণ বাড়ায় বহু গুণ। হরমোনজনিত কারণে মাসিকের সময় ও আগে-পরে নারীদের এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তির পেটব্যথা থাকে, সঙ্গে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে। কারও কারও ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য অলটারনেটিভলি হয়ে থাকে। মলত্যাগের পর পেটব্যথা কমে যায়। কয়েকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, আইবিএসে আক্রান্ত ব্যক্তি বারবার মলত্যাগ করলেও ওজন কিন্তু হ্রাস পায় না, শরীর ভাঙে না। মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা গেলেও রক্ত পড়ে না, ব্যক্তি রক্তশূন্যতায় ভোগে না। জেগে থাকলে বারবার মলত্যাগের ইচ্ছা হলেও মলত্যাগের জন্য ঘুম থেকে উঠতে হয় না। যদি আইবিএসের লক্ষণের সঙ্গে এ উপসর্গগুলো থাকে, তবে বুঝতে হবে এটা আইবিএস নয়, অন্য কোনো রোগ। দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।images (1)
আইবিএস নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। রোগী রোগের বর্ণনা থেকেই রোগ নির্ণয় করা যায়। হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতিও লক্ষণভিত্তিক একটি বিধান।
যা খাওয়া যাবে না : আইবিএসে আক্রান্ত রোগীদের কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়। যেমন চর্বিযুক্ত, তৈলাক্ত, আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। গমের তৈরি খাবারও খাওয়া যাবে না। হোটেলের খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তবে ছানা খাওয়া যাবে। পরামর্শ : নরম ভাত, হালকা ঝোলের তরকারি, কাঁচা বা পাকা পেঁপে, কাঁচা বা পাকা বেল এবং খেতে হবে গরম ও টাটকা খাবার।

আইবিএস রোগের জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক ধরনের ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *