ইউরেথ্র্রাল স্ট্রিকচার হলো মূত্রনালি সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়া। এ সঙ্কীর্ণতা ঘটে আঘাত বা রোগ যেমন- মূত্রপথের সংক্রমণ বা মূত্রনালির প্রদাহের কারণে। ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচারের প্রাথমিক স্তরে রোগীর প্রস্রাবের সময় ব্যথা করে এবং প্রস্রাব করার পর মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি হয় না। ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার প্রস্রাবের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা ঘটাতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাব আটকে যায়, তখন জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কারণ স্ট্রিকচার মূত্রথলি থেকে পুরুষাঙ্গের মাথা পর্যন্ত যে কোনো স্থানে হতে পারে। স্ট্রিকচারের সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে মূত্রনালিতে আঘাত এবং মূত্রপথের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ। সাধারণ কথায় ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচারের কারণগুলো হলো-
আঘাতজনিত পেলভিক ফ্রাকচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত মূত্রনালিতে আঘাত যেমন- মোটরগাড়ি দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া, কলকারখানায় আঘাত ইত্যাদি।
পায়ু এলাকায় সরাসরি আঘাত।
বারবার প্রস্রাবের পথে সংক্রমণ।
যৌনবাহিত রোগ।
লাইচেন সেক্লারোসিস (ব্যালানাইটিস জেরোটিকা অবলিটারেনস) মূত্রনালি ও পুরুষাঙ্গের জন্মগত অস্বাভাবিকতা।
চিকিৎসা
মূত্রনালি রোগের আগের চিকিৎসা যেমন_ মূত্রনালি সরু হওয়া বা মূত্রনালিতে ক্যানসার। মূত্রনালি ও পুরুষাঙ্গে জন্মগত অস্বাভাবিকতার (হাইপোসপেডিয়াস, করডি, এপিসপেডিয়াস) জন্য পুনর্গঠন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে মূত্রনালিতে টান পড়ার কারণে মূত্রথলির মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন_ প্রস্রাব আটকে যাওয়া (প্রস্রাব করতে অক্ষমতা), প্রস্রাব ঝরতে থাকা, প্রস্রাবের পথে প্রদাহ বা সংক্রমণ, রিফ্লাঙ্ (প্রস্রাব কিডনিতে ফিরে আসা) এবং কিডনির কার্যকারিতা লোপ পাওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
প্রস্রাব করার সময় ব্যথা করা
প্রস্রাবের গতি কমে যাওয়া
প্রস্রাবের পরিমাণ কম হওয়া
দুই নালে প্রস্রাব হওয়া
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া
পেটে ব্যথা
মূত্রনালি পথে নিঃসরণ
অল্প অল্প প্রস্রাব হওয়া
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
প্রস্রাব হঠাৎ আটকে যাওয়া কিংবা দীর্ঘমেয়াদি আটকে যাওয়া
পেছন দিকে চাপের কারণে
কিডনি বড় হওয়া
রোগ নির্ণয়
ইউরেথ্রোস্কপি, ইউরেথ্রোগ্রাফি
জটিলতা
ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার চিকিৎসা না করালে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় যেমন-
প্রস্রাব আটকে যাওয়া
মূত্রনালিতে আরেকটি পথ তৈরি হওয়া
মূত্রনালিতে পুঁজ হওয়া
মূত্রনালিতে ফিস্টুলা হওয়া
কিডনি বড় হওয়া
প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়া
প্রস্রাবের পথে পাথর হওয়া
চাপ দেয়ার কারণে হার্নিয়া, হেমোরয়েড হওয়া কিংবা মলনালি বেরিয়ে আসা।
চিকিৎসা= এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ একমাত্র চিকিৎসা,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।
==============================================
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 //01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
Face Book page : ( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall