করোনা : বাংলাদেশের সকল হোমিওপ্যাথি ঔষধ কোম্পানী উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ কাদের স্বার্থে?



বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি ঔষধের মোট চাহিদার বৃহৎ অংশ পূরণ করে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোম্পানির উৎপাদিত ও সরবরাহকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ। বাংলাদেশের স্থানীয় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোম্পানি গুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের জিএমপি ও আইএসও সার্টিফিকেটধারী কোম্পানী রয়েছে। তাদের দেশীয় উৎপাদিত হোমিওপ্যাথি ঔষধ দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে হোমিওপ্যাথি ঔষধ রপ্তানি করছে। কিন্তু বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শুরু হতেই দেশের সকল হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কোম্পানি সম্পূর্ণ বন্ধ কেন? কাদের স্বার্থে?

ফলে দেশীয় হোমিওপ্যাথি ঔষধ কোম্পানির সকল বিক্রয় প্রতিনিধিরা নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে অলস সময় অতিবাহিত করছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দেশের সকল হোমিওপ্যাথি চেম্বার খোলা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। অনেকের চেম্বারে পটেন্সি ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে অনেকের কমন মেডিসিন গুলো শেষ। যেখানে ঔষধ কোম্পানি তাদের উৎপাদন সচল ও মাঠ পর্যায়ে সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা সেখানে এভাবে সকল কোম্পানি গুলো উৎপাদন বন্ধ, কোম্পানির অফিস বন্ধ, কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের বিক্রয় প্রতিনিধি গ্রামে অলস সময় অতিবাহিত তা কখনই কাম্য নয়। সরকারকে সহযোগীতা না করে ও দেশের সর্বশ্রেণীর জনগোষ্ঠিকে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ঔষধ উৎপাদন, বাজারজাত-সরবরাহ না করা কখনও কাম্য নয়। সহযোগীতা না করে উৎপাদন বন্ধ করে রাখা কাদের স্বার্থ জড়িত? সরকার, ঔষধ প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করুন ও কঠোর পদক্ষেপ নিন। দ্রুত উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত না করলে প্রয়োজনে জরিমানা ও উৎপাদন লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করুন এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। ২০১৫খ্রি. বেসরকারী আশা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিবিসি-(বাংলা) যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৪০% হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করে আসছে।

যেখানে এলোপ্যাথি ঔষধ কোম্পানী গুলো নিজস্ব গাড়ী ও এসএ পরিবহন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তৃর্ণমুলে ঔষধ সরবরাহ করে আসছে এবং সরকার ও জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সেবার সহযোগিতা করে আসছে। ঔষধ উৎপাদন, সরবরাহ সরকারের কোন বাঁধা নেই, বরং সবকিছুর আওতামুক্ত।
সুসময়ে নয়, দুঃসময়ে যে পাশে আসে সে প্রকৃত বন্ধু।
দেশের হোমিওপ্যাথি ঔষধ কোম্পানির বিষয়ে সরকার ও জনসাধারণ এবং হোমিওপ্যাথদের নতুন করে চিন্তা করা দরকার। বিচারের দায়ভার তাদের উপর অর্পণ করা হলো।
(তথ্যসূত্র)
(মতামত)

লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)
বাংলাদেশ।
(চিকিৎসক, শিক্ষক, কলামিস্ট ও প্রাক্তন সাংবাদিক)