কানে কটনবাড ব্যবহার করা ঠিক না

shiplo_1311449760_1-healthy-ears33
ডাঃএস.জামান পলাশ====
অবাক হচ্ছেন???
কারন আমরা অনেকেই কম-বেশি কটন বাড ব্যবহার করি। তবে আমরা কি জানি কটন বাড ব্যবহার করার নিয়ম???
আর অনিয়ম ও অতিরিক্ত ব্যবহার করেই কিন্তু একটি কটন বাড আমাদের মৃত্যুর কারন হবে পারে। আর এরকম ই এক ঘটনার কথা বলছি। কটন বাড ব্যবহার করে মৃত্যুবরণ করা একটি বিরল ঘটনা। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে কানাডার মন্ট্রিলে। ঘটনা তনন্তকারী কর্মকর্তা ডা. জেসক রামসে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগকে বলেছেন যে, কটন বাডের প্যাকটের ওপর সতর্কবাণী লিখে দিতে। মন্ট্রিল নিবাসী ৪০ বছর বয়স্ক মি. ডেনিয়েল সেন্ট পিয়ে গত বছর মারা গেছেন এর কারন হলো কটন বাড এর ব্যবহার এর ফলে।

তিনি ছিলেন একজন কানে মাত্রাতিরিক্ত কটন বাড ব্যবহার কারী। যে কারণে প্রতিদিন বারবার ব্যবহারের ফলে তার বহিঃকর্ণে ইনফেকশন হয় এবং পরে তিনি আরো বেশি কটর বাড ব্যবহার করাতে তার বহিঃকর্ণের ইনফেকশন মধ্যকর্ণ থেকে অন্তঃকর্ণে বিস্তৃতি লাভ করে। অন্তঃকর্ণে থেকে মস্তিক এবং মস্তিষ্কের আবরণ মাত্র কয়েক মিলিমিটার দূরে। যার ফলে ইনফেকশন্‌ অতি সহজেই মস্তিস্ক এবং তার আবরণে সংক্রামিতো হয়ে, হতে পারে মেনিনজাইটিস বা স্পাইনাল কর্ডের চার পাশের প্রদাহ, যা কানের ইনফেকশনের জটিলতা হিসেবে দেখা দেয়। গত বছর মার্চে মি. সেন্ট পিয়ে কান ব্যথা ও কান থেকে রক্তপাতর জন্য হাসপাতালে যান। তার কানের পর্দা এত র্বেশি ফুলেছিল এবং তার কানে এত বেশি রক্ত জমেছিল, যে ডাক্তার কানের পর্দা ভাল করে দেখতে পারেন নি। তাই তাকে একটি কানের ড্রপ দিয়ে ছেড়ে দেন। সে দিন রাতে বাড়িতে তার অবস্থা আরো খারাপ হয়। এবং ডাক্তারদের শত চেষ্টার পর ও মস্তিস্কের আরনণের প্রদাহ রুখতে পারেন নি। এবং প্রদাহজনিত কারনে তার মৃত্যু হয়।shiplo_1311449788_2-home-re
তাই কটনবাড ব্যবহারে সাবধান হন। বিশেষ করে ছোট বাচ্চদের কাছ থেকে এটা দুরে রাখাই ভাল। এবং বড়দের ও সচেতন করুন এর ব্যবহার করাতে। আর যেনতেন সস্তা কটনবাড ব্যবহার করা ঠিক না। ভূলভ্রান্তি হলে ক্ষমা করবেন।
ধন্যবাদ
*****************************
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট -www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *