কান, জিহ্বা, নিতম্ব, উরু ও চোখের আকার দেখেই রোগের আশঙ্কা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। তাই, শরীরের নানান অঙ্গের আকার দেখে রোগ প্রতিরোধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তোলার পরামর্শ দেন বিজ্ঞানীরা।
কান
যাদের কানের আকার ছোট তাদের একজিমা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কানের বাইরের অংশের আকার ছোট হলে মিল রেখে অন্যান্য অংশের আকারও ছোট হয়। এমনকি কানের আকার ছোট হলে কিনডিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। কানের আকারের সাথে কিডনিজনিত রোগের কারণ নিশ্চিত করতে পারছেনা বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কান ছোট হলে বয়স বারার সাথে সাথে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। তাই, যাদের কানের আকার ছোট তাদের কিডনি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
জিহ্বা
জিহ্বার আকার বড় হলে ঘুমের সময় নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারওর জিহ্বার আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হলে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হয়।
নিতম্ব
যাদের নিতম্বের আকার ও ওজন তুলনামূলকভাবে বেশি হয় তাদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই আশঙ্কার পেছনে যুক্তিটি হচ্ছে- চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়। এতে করে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ক্রিয়াকর্ম বাধা পায়। এতে করে স্মৃতিশক্তিও কমে যেতে পারে।
পা
পায়ের আকার বড় হলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। সন্তান মার্তৃগর্ভে থাকার সময় যদি মা যদি অপুষ্টিতে ভুগে তাহলে সন্তানের পায়ের আকার ছোট হয়ে যায়। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, সন্তানের পায়ের আকার ৪.৩ সেন্টিমিটার বড় হলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা ১৯ভাগ কমে যায়।
চোখ
চোখের গড় আকার ২৪ মিলিমিটার। গড়য়াকারের চেয়ে ১ মিলিমিটার বড় হলেও চোখের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এক্ষেত্রে চোখের গড় আকারের চেয়ে বড় হলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হয়।
উরু
উরুর সরু হলে হৃদরোগ থেকে শুরু করে অকালমৃত্যুর আশঙ্কা আছে।