কিডনি পাথরিতে হোমিও চিকিৎসা

images (1)মূত্রগ্রন্থি বা কিডনিতে পাথর হওয়া এ কথাটা বর্তমানে শুনলে আঁতকে ওঠার কিছু নেই বা নতুন কিছু মনে করারও নয়। কিডনির মধ্যে শক্ত দানা কঠিন পদার্থ বা স্টোনের মতো জমা হলে তাকে রেনাল স্টোন বা কিডনির পাথর বলে। এ পাথর কখনো মূত্রগ্রন্থি বা কিডনি, মূত্রানালী, আবার কখনো মূত্রথলিতে এসে জমা হয়। ফলে বিভিন্ন সমস্যাসহ প্রস্রাব অবরোধ হতে পারে।

কেন হয় কিডনিতে পাথর : কিডনির কাজ শরীরের রক্ত থেকে ময়লা আবর্জনা ও পানি শোধন করে প্রস্রাব আকারে বের করে দেয়া। দু’টি ইউরেটারের মাধ্যমে প্রস্রাব মূত্রথলিতে এসে জমা হয়। তারপর প্রয়োজন মতো বেরিয়ে আসে। আমরা সারা দিন যা পানাহার করি তা থেকে শরীরের দরকারি অংশ শরীর কোষ নিজে রাখে। বাকি অংশ বর্জ্যপদার্থ হিসেবে রক্তের সাথে মিশে কিডনি এ বর্জ্যপদার্থ রক্ত থেকে বের করে নিয়ে প্রস্রাব আকারে নিঃসরণ করে। তা ছাড়া আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কিডনি পালন করে থাকে।
যেভাবে বুঝবেন কিডনিতে পাথর আছে : যেকোনো বয়সে নারী, পুরুষ, সবারই কিডনিতে পাথর জমতে পারে

* বারবার প্রস্রাবের বেগ * বেদনা কিডনি বরাবর হয়ে নিম্ন কুঁচকির দিকে, পেটে, বুকে প্রসারিত হতে পারে

* কুঁচকি, অণ্ডকোষ প্রভৃতি স্থানে অত্যন্ত যন্ত্রণা হতে পারে

* যেকোনো ভারী জিনিস তুলতে গেলে বা রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ বেদনার উদ্রেক হতে পারে

* অণ্ডকোষ ঊর্ধ্ব দিকে টেনে ধরার মতো অনুভব হতে পারে * বেদনা ও যন্ত্রণা কখনো কখনো বা সবসময় থাকতে পারে

* বমি ভাব * বমি হতে পারে * হিক্কা-কপালে ঘাম, মূর্ছা যেতে পারে * নাড়ি দ্রুত ক্ষীণ হতে পারে * দেহের তাপমাত্রা বাড়তে পারে* ছোট শিশুরা প্রস্রাব করতে গিয়ে কান্না করতে পারে।
আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা : প্রথমত হিস্ট্রি নিয়ে বোঝা যায় * এক্স-রে করে, আলট্রাসনোগ্রাম করে, আইভিও করে, প্রস্রাব পরীক্ষা করে জানতে পারেন কিডনির স্টোনের অবস্থা।
চিকিৎসা : হোমিওপ্যাথিতে কিডনির স্টোনের জন্য অনেক মেডিসিন আছে। তবে এ মেডিসিনগুলো অ্যালোপ্যাথির মতো ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগ করা চলে না। প্রত্যেকটি মেডিসিনই আলাদা আলাদা লক্ষণ সাদৃশ্যে ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন- লাইকোপুডিয়াম, লিথিয়াম কার্ব, সার্সাপেরিলা, থ্যালপসি-বার্সা, বারবারিস, এপিজিয়া পেমস্, ক্যানথারিস ও ক্যালকেরিয়া ইত্যাদি। যা একজন আদর্শ চিকিৎসকের পক্ষেই সঠিক মাত্রা শক্তি নির্বাচন সম্ভব।
যা করতে হবে আপনাকে : * পানি পানের অভ্যাস রাখতে হবে প্রয়োজন মতো

* ঠাণ্ডা লাগতে দেয়া যাবে না * বেদনা উপশমের জন্য হালকা গরম সেঁক দেয়া যেতে পারে।

* দুধ, সাগু, বার্লি, দধি সুপথ্য। ফলমূল, লেবুর শরবত, বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে।
যা করবেন না : রোগ নিয়ে অবহেলা * চুন, সুপারি খাবেন না * অম্ল, অর্জনকর দ্রব্য, মদ্যপান, ধূমপান, গোশত, গুরুপাক খাদ্য খাবেন না। পেইনকিলার দীর্ঘ দিন নেবেন না।

 

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *