কিডনি রোগের ঝুঁকি কমানোর ছয়টি পরামর্শ

imagespp
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

অধিকাংশ মানুষ দুটি কিডনি নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও সুস্থ মানু্ষের একটি কিডনিই যথেষ্ট। প্রতিদিন কিডনি ২০০ লিটার রক্ত পরিশোধন করে দুই লিটার ফেলে দেয়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে রক্ত পরিষ্কার করার পাশাপাশি শরীরের জলীয় অংশের মাত্রা ঠিক রাখা হয়। এছাড়া কিডনি হরমোন নিঃস্বরণের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে।
কিডনি সাধারণত অনেক সময় নিয়ে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়। এ কারণে কিডনির সমস্যা হলেও আপনি কিডনি একেবারে নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি টের পাবেন না। ফলে আপাতদৃষ্টিতে কিডনির সমস্যা না হলেও তার সুস্থতা পরীক্ষা করা উচিত। এছাড়া ফক্স নিউজে প্রকাশিত নিবন্ধের আলোকে এ বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিলে কিডনির ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।images00
১. পরীক্ষা করান
আপনি যদি কিডনি রোগের ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে প্রতি বছর একবার করে কিডনি পরীক্ষা করা উচিত। এজন্য দুটি সাধারণ পরীক্ষা প্রচলিত আছে। এগুলো হল-
ইউরিন পরীক্ষা
অ্যালবুমিন নামে প্রেটিনের জন্য ইউরিন পরীক্ষা করতে হয়। ইউরিনে প্রোটিন পাওয়া গেলে তা কিডনি রোগের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
রক্ত পরীক্ষা
রক্তের ক্রিয়েটিনাইন মাত্রা পরীক্ষা করে কিডনির সুস্থতা নির্ণয় করা যায়। ক্রিয়েটিনাইন একটি বর্জ্য পদার্থ। এটি শরীরের পেশির কার্যক্রমের ফলে উৎপন্ন হয়। কিডনির ফিল্টার করার মাত্রা এর মাধ্যমে বোঝা যায়।
২. রক্তচাপ ও রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করুন
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কিডনি রোগের অন্যতম কারণ। কিডনি একটি রক্তসংবহনতন্ত্রের অঙ্গ। এ কারণে কিডনি রক্তের সঙ্গে জড়িত। ফলে রক্তের সমস্যা হলে কিডনিরও সমস্যা হয়। এমনকি সামান্য বেশি রক্তচাপ (প্রি-হাইপারটেনশন) বা রক্তের বাড়তি চিনি (প্রি-ডায়াবেটিস) কিডনির ক্ষতি করে। এতে কিডনি নষ্ট হয়েও যেতে পারে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন
সঠিক মাত্রার মধ্যে শরীরের ওজন বজায় রাখা কিডনির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ওজন হয়ে গেলে শরীরের বাড়তি বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করতে কিডনিকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। অতিরিক্ত ওজন হলে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনাও বাড়ে। এগুলোর ফলে কিডনির ঝুঁকির মুখে পড়ে। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এসব সমস্যা সহজেই কাটানো যায়।
৪. ধূমপান
কিডনির রোগ ধূমপানের ফলে মারাত্মক আকার ধারণ করে। এতে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ধূমপান থেকে বের হওয়া কঠিন। তবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে কিডনির রোগ ও গড় স্বাস্থ্য ঠিক রাখা সম্ভব।
৫. খাবারের প্রতি খেয়াল রাখুন, শারীরিক পরিশ্রম করুন
কিডনির ক্ষতি বহু সময় নিয়ে খুব ধীরে ধীরে হয়। প্রতিদিনের সিদ্ধান্ত এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিনের কাজ ও খাবারের সিদ্ধান্ত এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম ও অস্বাস্থ্যকর খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। খাবারে লবনের মাত্রা কম রাখতে হবে। এগুলো প্রসেস করা খাবারে বেশি থাকে।
৬. ওষুধপত্র গ্রহণে সাবধানতাimage_74689_0-300x200
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো কোনো ওষুধ গ্রহণ করলে তা কিডনি নষ্ট করতে পারে। এছাড়া ব্যবস্থাপত্রে দেওয়া অনেক ওষুধও কিডনির জন্য ক্ষতিকর। কিডনির স্বার্থে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো বাড়তি ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে ব্যথার জন্য দেওয়া ওষুধ কিডনির বেশ ক্ষতি করে। ওষুধ খাওয়ার আগে সেখানে দেওয়া নিয়মাবলী পড়ে নিন। বিশেষ করে আইবুপ্রোফেন ও ন্যাপ্রোক্সেন ওষুধ অতিরিক্ত গ্রহণ করা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

==============================================

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435
ইমো  01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ইমেইল– dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইটwww.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
 ফেসবুক পেইজে লাইক দিন  https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *