কেমন নারীকে বিয়ে করা উচিত, কেমন নারীকে বিয়ে করা উচিত না?


images (5)

মাওলানা মিরাজ রহমান

কেমন নারীকে বিবাহ করা উচিত
বিবাহের ক্ষেত্রে এমন নারি নির্বাচন করবে যার মধ্যে ধার্মিকতা ও আমল আখলাকের ক্ষেত্রে স্বামীর চেয়ে উত্তম। এতে সে নারী অর্থ স¤পদের ক্ষেত্রে স্বামী সমতুল্য না হোক তাতে কিছু যায় আসেনা, নারীর চেহারা গোলাকার হলে ভালো হয়। গোলাকার ও লম্বাকৃতির চেহারা সবই আল্লাহর সৃষ্টি। তবে গোলাকার চেহারার নারীর কিছু অতিরিক্ত বৈষিষ্ট থাকে। যা সাংসারিক জীবনে সুখের সৃষ্টি করে। তদ্রুপভাবে স্ত্রী দূরের বংশের হওয়াটা বেশি উপকারী। কারণ নিকটাত্মীয় অর্থা চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো, খালাতো বোন ইত্যাদি আপন আত্মীয়ের মধ্যে দূরের রূরের তুলনায় ভালোবাসা ও মহব্বত কম হয়ে থাকে। এদের থেকে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে সাধারণত তারা মেধা শক্তি ও জ্ঞান গরিমায় দুর্বল হয়ে থাকে। কখনও কখনও বিকলাঙ্গ বা বিভিন্ন জটিল রোগের শিকার হয়ে থাকে। এজন্য যথা

সম্ভব দূরের কোন নারীকেই বিবাহ করা উচিত। কেননা, দূরের আত্মীয়দের সাথে মহব্বত ভালোবাসা তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। আর সন্তানাদিও জ্ঞান বুদ্ধির দিক দিয়ে তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। সাথে সাথে নতুন করে একটি বংশের সাথে স¤পর্ক করার দ্বারা বংশধারাও বৃদ্ধিপায়। দ্বীনি ও দুনিয়াবী উভয় শিক্ষায় শিক্ষিত পাত্রীকেই বিবাহ করা চাই। একেবারে মূর্খ জাহেল অশিক্ষিত নারী বিবাহ না করাই উত্তম। নারী মোটা হওয়া বা চিকন হওয়া এটা ছেলের পছন্দের উপর নির্ভর করবে। কারো পছন্দ মোটা মেয়ে আবার কারো পছন্দ চিকন ও হালকা পাতলা মেয়ে। তবে অধিকাংশ লোকজন হালকা পাতলা নারীকেই বেশি পছন্দ করে থাকে। পক্ষান্তরে আরবের লোকেরা মোটা পাত্রীকেই বেশি পছন্দ করে।

এক হাদীসে নবী করিম (সা.) বলেন- তোমরা এমন মহিলাকে বিবাহ কর যার থেকে বেশি সন্তান জন্ম নেয়। প্রশ্ন হতে পারে যে বিবাহের আগেই অধিক সন্তান হওয়ার নিদর্শন কি ? এ বিষয়টি বুঝতে হলে উক্ত মেয়ের সহোদরা বোনের কতগুলি সন্তান অথবা উক্ত মেয়ের কতগুলি বোন রয়েছে। কিংবা তার ভাইয়ের সন্তানাদি কতজন। তাদের সন্তানাদি বেশি হলে আশা করা যায় যে এ মহিলার থেকেও অধিক সন্তানাদি হবে। বিবাহের ক্ষেত্রে নির্বাচিতা নারী যেন বাঁজা না হয়। বাঁজা বলা হয় ঐ নারীকে যার সন্তান জন্ম দেয়ার যোগ্যতা নেই।1623642_710992492342384_3048868191126396425_n

কেমন নারীকে বিবাহ করা উচিত না
জ্ঞানীরা বলেন, নিন্মোক্ত মেয়েদেরকে বিবাহ না করা উত্তম।
এক। যে সকল মহিলা সব সময় বিরক্ত হয়ে থাকে এবং সবক্ষেত্রেই যে সব মহিলা হা-হুতাশ করে। কিংবা সবসময় যে মহিলা অসুস্থ থাকে। এসব মেয়েদেরকে বিবাহ করলে সাংসারিক জীবনে কোনো কাজেই বরকত পাওয়া যায়না দুই। উপকার করে খোঁটাদানকারী মহিলা। তিন।প্রথম স্বামীর প্রতি আসক্ত মহিলাকে বিবাহ করা থেক বিরত থাকতে হবে । চার। যেসব মহিল সর্বক্ষণ সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পাঁচ। সবসময় অশ্লীল ভাষায় কবা কাজীকারী মহিলাকে বিবাহ করবেনা। ছয়। বাঁচাল বা প্রলাপী মহিলাকেও বিবাহ করতে নেই। সাত। বৃদ্ধ মহিলার সাথে সহবাসে যেহেতু যুবকদের মানসিক দুর্বলতা ও অলসতা সৃষ্টি হয় সেহেতু বৃদ্ধাদেরকে বিবাহ করবেনা। জ্ঞানীরা বলে থাকেন যে যুবতীদেরকে বিবাহ করে সহবাস করার দ্বারা জান তথা ভ্রুণ সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে বৃদ্ধাদেরকে বিবাহ করে সহবাস ক্রয়ার দ্বারা অনিষ্টতা বৃদ্ধি পায়। সে সাথে অলসতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *