গর্ভকালীন বিপজ্জনক উপসর্গ

1385497_676790895673288_709870481_n জামান হোমিও হল:
== নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য একজন গর্ভবতীকে জীবনের সংকটময় মুহূর্তগুলোর কথা অবশ্যই জানা দরকার। এর ফলে মা ও অনাগত শিশু অনেক অনাকাক্সিক্ষত সমস্যার হাত থেকে বেঁচে যায়। মাতৃত্বকে বরণ করতে গিয়ে আমাদের সমাজে এখনও অনেক মায়ের জীবনে ট্র্যাজেডি নেমে আসে। গর্ভাব¯’ায় পা ফুলে যাওয়া, রক্তক্ষরণ হওয়া, প্রসব ব্যথা ১২ ঘণ্টার বেশি হওয়া, সন্তান প্রসবের পর জ্বর ও দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব নিঃসরণ গর্ভাব¯’ায় বিপদ সংকেত বা রেড ফ্ল্যাগ হিসেবে পরিচিত।
গর্ভাব¯’ায় পা ফুলে যাওয়া, ঘন ঘন মাথা ধরা ও খিচুনি ওঠা
কারণ একলাম্পসিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একলাম্পসিয়া এক ধরনের মারাÍক খিচুনি রোগ যা গর্ভকালীন ও সন্তান হওয়ার পরপরই হয়ে থাকে। একলাম্পসিয়া রোগটি সাধারণত যারা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হন তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। গর্ভাব¯’ায় পাঁচ মাস পর থেকে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে এবং হাতে-পায়ে পানি এসে যায়। এরপর ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে থাকে। রোগীর ব্লাডপ্রেসার বেড়ে যেতে থাকে এবং প্রস্রাবে এলবুমিন বা প্রোটিন যেতে থাকে। এগুলো সবই প্রি-একলাম্পসিয়া বা একলাম্পসিয়ার হওয়ার পূর্বলক্ষণ। এরপর থেকে যদি পরিমিত বিশ্রাম ও ব্লাডপ্রেসার কমানোর ওষুধ না খাওয়া হয় তাহলে অব¯’ার অবনতি ঘটতে পারে। কখনও কখনও রোগী চোখে ঝাপসা দেখে। পেটের ওপরের দিকে বেশ ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে মাথাব্যথা তো আছেই। এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে ‘একলাম্পসিয়া আসন্ন’। এমনি অব¯’াতে হঠাৎ করেই রোগীর খিচুনি উঠে যায় এবং গর্ভবতী মা ও শিশুটির জীবন মারাÍক সংকটের সম্মুখীন হয়। এ সময়ে যদি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না করা হয় তাহলে মৃত্যু প্রায় অবসম্ভাবী হয়ে পড়ে। সে জন্য যখনই বিপজ্জনক উপসর্গ দেখা দেয় তখন দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
গর্ভাব¯’ায় রক্তক্ষরণ
গর্ভাব¯’ায় রক্তক্ষরণ হওয়া মোটেও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। প্রথম ৫ মাসের মধ্যে রক্তক্ষরণ হওয়ার অর্থ হল গর্ভ¯’ ভ্রƒণটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার অব¯’া তৈরি হয়েছে বা গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি প্রবল হয়ে উঠেছে। রক্তক্ষরণ হওয়ার পরপরই যদি ব্যথা শুর“ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে যে ভ্রƒণটি আর গর্ভে স্বাভাবিক অব¯’ায় থাকবে না। জরায়ু থেকে বেরিয়ে যাবে। বিপত্তি ঘটে ভ্রƒণের সামান্য অংশ বের হয়ে যাওয়ার পর, বাকি অংশটুকু থেকে যাওয়ায়। তখন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে এবং চিকিৎসা না নিলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সময়ে রোগীর জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন হয়Ñ সেই সঙ্গে ভ্রƒণের বাকি অংশগুলো বের করে ফেলার জন্য ডিঅ্যান্ডসি করতে হয়। কাজেই এ অব¯’ায় দ্র“ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। গর্ভাব¯’ায় পাঁচ মাসের পরও যদি রক্তক্ষরণ হয় এখানেও সন্তান নষ্ট হয়ে গর্ভপাত হতে পারে অথবা সময়ের আগেই সন্তানের জš§ হতে পারে। এ বা”চা বাঁচানো খুবই কঠিন এবং মায়ের জীবনেও ঝুঁকি নেমে আসতে পারে। গর্ভাব¯’ায় ‘গর্ভফুলের ভুল অব¯’ানের’ কারণেও রক্তক্ষরণ হতে পারে। গর্ভফুল যদি জরায়ুর ওপরের দিকে না থেকে জরায়ুর নিচের দিকে অব¯’ান করে তখন সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায়। জরায়ুর নিচের দিকে যদি গর্ভফুল থাকে তাহলে প্রসব ব্যথা উঠলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। এ রক্তক্ষরণ বন্ধ করার উপায় হল দ্র“ত সিজারিয়ান অপারেশন করে শিশু ও গর্ভফুলটিকে বের করা। এ ধরনের অব¯’াতে রোগীকে রক্ত না দিলে বাঁচানো কঠিন। কাজেই গর্ভাব¯’ায় রক্তক্ষরণকে সব সময়ই গুর“ত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ=

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর রক্তক্ষরণ কিছু হওয়া স্বাভাবিক। যদি দেখা যায় সন্তান প্রসবে বেশ রক্তক্ষরণ হ”েছ, মোটামুটি এক গ্লাসের (একপোয়া) চেয়ে বেশি যা”েছ তখনই সতর্ক হতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে তলপেটে মালিশ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ইনজেকশন অক্সিটোসিন মাংসপেশিতে দিতে হবে। মিসোপ্রোসটল বড়ি তিনটি মুখে খাওয়াতে হবে এবং তলপেটে মালিশ করতে করতে হাসপাতালে দ্র“ত পাঠানোর ব্যব¯’া করতে হবে। সেই সঙ্গে পরিবারের দু-তিনজন সদস্য যারা রক্ত দিতে সক্ষম তাদেরও পাঠাতে হবে। কারণ রোগীর জীবন বাঁচাতে পারিবারিক রক্ত বিশেষ সাহায্য করবে। মনে রাখবেন পারিবারিক রক্ত নিরাপদ। বাইরের কেনা রক্ত থেকে রোগজীবাণু সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

বাধাগ্রস্ত প্রসব
প্রসব ব্যথা ১২ ঘণ্টার বেশি দীর্ঘ¯’ায়ী হলে বুঝতে হবে সন্তান প্রসবে কোনো জটিলতা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ সময় প্রসব ব্যথা ওঠার ১২ ঘণ্টার মধ্যে বা”চা ভূমিষ্ঠ হয়। যদি এ সময়সীমার মধ্যে না হয় তখন চি

ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *