গর্ভনিরোধক ছাড়াই নিরাপদ সহবাস পদ্ধতি

feature-limon-1_64195-400x221জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য সকলেই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট কিংবা কনডমের উপরই ভরসা করেন। কিন্তু, আধুনিক পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এই সম্পর্কে ধারণা থাকলে চিকিৎসকের কাছেও যাওয়ার প্রযোজন পড়ে না।

নারীদের স্বাভাবিক ঋতুচক্র প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। এতে এমন কিছুদিন রয়েছে, যাকে নিরাপদ দিন বা সেফ পিরিয়ড বলা হয়। এই দিনগুলিতে সহবাস করলেও গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে না।

সেফ পিরিয়ডের দিনগুলিও প্রকৃতিগতভাবে নির্দিষ্ট। এই কারণেই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা বলা যেতেই পারে। চিকিৎসকেরা এতে অনেক সময় ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন। এই পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জানা দরকার ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলি।

এই পদ্ধতির জন্য সবার আগে জানতে হবে মাসিক ঋতুচক্র নিয়মিত হয় কিনা। হলে তা কত দিন অন্তর হয়। সবচেয়ে কম যত দিন পরপর মাসিক হয়, তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিতে হবে।

পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল প্রথম অনিরাপদ দিন। আবার সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর পিরিয়ড হয়, তা থেকে ১০ দিন বাদ দিলে মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল শেষ অনিরাপদ দিন।

ধরুন আপনার পিরিয়ড ২৮ থেকে ২০ দিন অন্তর হয়। তবে ২৮-১৮= ১০, অর্থাৎ পিরিয়ড শুরুর পর থেকে প্রায় নয় দিন আপনার জন্য নিরাপদ, এই দিনগুলিতে কোন পদ্ধতি ব্যবহার না করেও সহবাস অনায়াসেই করা সম্ভব। ১০ নম্বর দিন থেকে অনিরাপদ দিন শুরু। তাই এই দিন থেকে সহবাসে সংযত হতে হবে।

৩০ দিন হল দীর্ঘতম মাসিকচক্র। তাই ৩০-১০= ২০, অর্থাৎ ২০ নম্বর দিনটিই হল শেষ অনিরাপদ দিন। ২১তম দিন থেকে আবার অবাধে সহবাস করা যেতে পারে। এতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা নেই। তবে, এতে ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে অবাধ সহবাসের ফলে গর্ভধারণ হতে পারে।

এই বিষয়েটি সহজভাবে বোঝালে পিরিয়ড শুরুর প্রথম সাতদিন ও শেষের প্রথম সাতদিন সহবাস করা নিরাপদ। তবে, পিরিয়ড নিয়মিত না হলে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে না।

এছাড়াও প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ৮০ শতাংশ নিরাপদ। সাধারণত, পিরিয়ডের হিসেবে গন্ডগোল, অনিরাপদ দিবসে সহবাস, অনুমিত পিরিয়ডের ফলে প্রাকৃতির গর্ভনিরোধকের পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই, সঠিকভাবে জানতে একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

আবার কিছু পুরুষের শুক্রাণুর আয়ু বেশি হওয়ায় তারা এতে সাফল্য নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবসে দুই দিন বাড়িয়ে নেওয়া প্রয়োজন। একে অনেকে প্রোগ্রামড সেক্স বলে। অনেকেই এ বিষয়ে সংশয় পোষণ করেন। কিন্তু একবার এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটি অনেক বেশি সহজ ও আরামদায়ক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *