টুথব্রাশ বিষয়ে পাঁচটি ভুল, যা আমরা অনেকেই করে থাকি

image_61453.toothbrushesআপনি কি জানেন আপনার টুথব্রাশে বাস করে প্রায় ১০ বিলিয়ন জীবাণু? টুথব্রাশ সম্পর্কে আমাদের বেশকিছু ভুল ধারণা আছে। এক প্রতিবেদনে টুথব্রাশ সম্পর্কে আমাদের ভুল ধারণা ও তার প্রতিকার প্রকাশ করেছে ফক্স নিউজ। স্বাস্থ্যকর মুখের জন্য এসব ভুল বাদ দিয়ে সঠিকভাবে টুথব্রাশের যত্ন নিতে হবে।

১. আপনি টয়লেটের ছয় ফুটের মধ্যে টুথব্রাশ রাখেন
অধিকাংশ মানুষই টয়লেটে টুথব্রাশ রাখেন। আপনি যদি টয়লেটের ছয় ফুটের মধ্যে টুথব্রাশ রাখেন তাহলে তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। কারণ টয়লেটের জীবাণুরা সহজেই বিভিন্ন উপায়ে টুথব্রাশে চলে আসতে পারে।

২. আপনি একটি প্লাস্টিক বক্সের ভেতর টুথব্রাশ রাখেন
টুথব্রাশকে প্লাস্টিক বক্সের ভেতর রাখা খুবই বিপজ্জনক চর্চা। কারণ এতে বক্সের ভেতর প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও উপযুক্ত পরিবেশে নিরাপদে জীবাণুরা বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এ কারণে বিজ্ঞানীরা প্লাস্টিক বক্সের বাইরে টুথব্রাশ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। সবচেয়ে ভালো হয়, কাপড়ের তৈরি একটি পরিষ্কার প্যাকেটের ভেতর টুথব্রাশ রাখলে। এতে টুথব্রাশের আর্দ্রতা যেমন শুকাবে তেমনি এটি জীবাণুদের প্রবেশেও কিছুটা বাধা দেবে।

৩. মাইক্রোওয়েভ ওভেনে টুথব্রাশ পরিষ্কার করাimage_61453_0.azadnegar_news_25302_1342939502_212854_in
অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে টুথব্রাশ গরম করে তা জীবাণুমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এটি একটি বিপজ্জনক চর্চা। কারণ এর ফলে টুথব্রাশটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। অধিকাংশ টুথব্রাশই প্লাস্টিক, সিলিকন ও নাইলন দিয়ে তৈরি। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে টুথব্রাশ গরম করা হলে এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে টুথব্রাশটি থেকে ক্যান্সারসহ নানা রোগ হতে পারে। তার বদলে হালকা গরম পানিতে টুথব্রাশটি সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর এটি একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রতি তিন মাস পর পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত।

৪. আপনি মনে করেন টুথপেস্ট ব্যাকটেরিয়া দূর করে
অনেকেই মনে করে, তাদের টুথপেস্ট ব্যাকটেরিয়ার মতো জীবাণু ব্রাশ থেকে দূর করে। ফলে এ ভুল ধারণায় অনেকেই ব্রাশ পরিষ্কার করে না। যদিও এটা ভুল ধারণা। সাধারণ টুথপেস্ট ব্যাকটেরিয়া দূর করে না। আর এ কারণে ব্রাশের প্রয়োজন হয় আলাদা যত্নের।

৫. টুথপেস্টে অতিরিক্ত কেমিক্যালের প্রয়োজনীয়তাimage_61453_1.toothbrush_bathroom_01
আপনার টুথপেস্টে যদি অতিরিক্ত কেমিক্যাল থাকে তবে তা উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া এসব সাধারণত ব্রাশ পরিষ্কার করে না। এ কারণে সোডিয়াম লউরেল সালফেট বা ট্রাইক্লোসান কোপলিমার এবং কিউরেটোলা যেসব পেস্টে আছে সেগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।
মুখের ভেতরে যেসব উপকারি ব্যাক্টেরিয়া আছে সেগুলো রোগ প্রতিরোধের জন্য কাজ করে। ফলে শক্ত অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল রাসায়নিক দিয়ে এগুলোকে সম্পূর্ণ মেরে ফেললে তা আদতে মুখের ক্ষতি করে।

সূত্র– কালেরকন্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *