টেস্টটিউব বেবি

574620_658099577542420_361651507_nডাঃ এস.জামান পলাশ

কোনো দম্পতি কোনো কারণে সন্তান জন্ম দিতে পারছেন না। যদি সেই দম্পতির স্ত্রীর ডিম্বাণু এনে স্বামীর শুক্রাণুর সঙ্গে একত্রে গর্ভাশয়ের বাইরে পেট্রিডিশের মধ্যে রেখে নিষিক্ত করা হয় এবং দু-তিন দিন পর নিষিক্ত ভ্রূণটি জরায়ুতে স্থাপন করা হয়, তাহলেও কিন্তু শিশুর জন্ম সম্ভব। এভাবে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে তাকেই টেস্টটিউব বেবি বলে। পদ্ধতিটি যত সহজে বলা গেল, প্রকৃতপক্ষে তা ততটা সহজ নয়। এ পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া প্রথম শিশুটির নাম লুই ব্রাউন। তাঁর জন্ম ১৯৭৮ সালের জুলাই মাসে, ইংল্যান্ডের ওল্ডহোম শহরের হাসপাতালে।

ডিম্বাণু ও ডিম্বাশয়
একটি মেয়েশিশু তার দুটি ডিম্বাশয়ে প্রায় পাঁচ লাখ অপরিপক্ব ডিম্বাণু নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যৌবনপ্রাপ্তির পর মাসিকের মাঝামাঝি সময়ে কেবল একটি ডিম্ব পরিপক্ব অবস্থায় ডিম্বাশয় থেকে বের হয়ে ফেলোপিয়ান টিউব দিয়ে জরায়ুতে আসে। মাসিকের প্রথম দিকে প্রায় ২০টির মতো ডিম্বাণু পরিপক্বতা লাভ করার জন্য তৈরি হতে থাকে। কিন্তু কেবল একটি ডিম্বাণু সম্পূর্ণ পরিপক্বতা লাভ করে। অন্যগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। মহিলাদের বয়সের কারণে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর ডিম আর পরিপক্বতা লাভ করে না। তাই সে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।

শুক্রাণু944826_10151778055268344_70081211_n
পুরুষের বেলায় কিন্তু শুক্রাণুপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া আগে তৈরি হয় না। সুস্থ ও স্বাভাবিক পুরুষের প্রতিবারের বীর্যস্খলনে প্রায় ১০ কোটি শুক্রাণু বের হয়। সহবাসের সময় এই ১০ কোটি শুক্রাণু থেকে মাত্র কয়েকটি সুস্থ ও সবল শুক্রবাণু জরায়ুর ভেতর প্রবেশ করতে পারে। এদের মধ্য থেকে কেবল একটি শুক্রাণু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে ভ্রূণ তৈরি ও গর্ভ লাভ করে। এটাই জন্মদানের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারণimage_95350_0
* ডিম্বস্ফুটন বা মাসিকের মধ্যে কোনো তারতম্য থাকলে।
* হরমোনের তারতম্যের কারণে অস্বাভাবিক ডিম্বাণু জন্ম নিলে।
* ফেলোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকলে।
* জরায়ুর অ্যান্ডামেট্রিয়ামে (এক প্রকার পাতলা আবরণ) কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে।
* জরায়ুর ভেতরে জলীয় পদার্থে অস্বাভাবিকতা থাকলে।
* নারীর শরীরে যদি শুক্রাণু প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি থাকে।
* জরাযুতে কোনো টিউমার অথবা পর্দা থাকলে।

পুরুষ বন্ধ্যত্বের কারণimage_27633.male-sperm
* প্রতিবার বীর্যস্খলনে শুক্রাণুর পরিমাণ যদি দুই কোটির কম থাকে বা কোনো শুক্রাণু না থাকলে।
* শুক্রাণুর চলাফেরার ক্ষমতা কম থাকলে।
* ধূমপান, মাদকদ্রব্য সেবন, যৌনরোগ ইত্যাদি কারণে অস্বাভাবিক শুক্রকীট তৈরি হলে।

==================================================

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *