ধূমপান কেন ছাড়বেন?

p4_6418সহজ ভাষায় বলতে গেলে স্লোগানটি হয়, ‌‘ধূমপানে বিষপান’। ধূমপানের বিষয়ে সচেতনতায় বিশ্বের প্রতিটি পথে প্রান্তরে যে পরিমাণ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন হয় তার অর্থেই পৃথিবীর ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর কয়েকবেলার খাবারের সংস্থান হয়ে যেতো।

তবে এর জন্য প্রয়োজন ছিল একটু চিন্তা আর সচেতনতার।

ধূমপায়ী ব্যক্তিরা ধীরে এগিয়ে যান নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে। বলতে পারেন নিশ্চিত মৃত্যু সবারই আছে। তবে ধূমপায়ীদের আগে মারা যাওয়াসহ নানা জটিল রোগে ভোগার হারটা অনেক বেশি।

ক্যান্সার ছাড়াও আরো যেসব রোগে ধূমপায়ীরা ভোগেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে…

মুখের দূর্গন্ধ: ধূমপানের কারণে খুব স্বাভাবিক মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। সিগারেট খাওয়ার পরে যতই চুইংগাম চাবান না কেন দূর্গন্ধ কিন্তু যায় না। এটা সর্বোচ্চ আপনাকে কারো হাতে ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তবে কয়েক বছর ঠিকই বুঝবেন আপনার মুখের দুর্গন্ধে আপনার সঙ্গী কতটুকু বিরক্ত!
p1_6418_0
টাকার গচ্চা: আপনি একটু স্থির হয়ে ভেবে দেখুন প্রতিদিন আপনি কতগুলো টাকা ধূমপানের পিছনে খরচ করছেন। এবার ভাবুন মাসে এবং বছরে কতগুলো টাকা আপনি ছাই করে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে আপনার একটু সচেতনতা এবং ধূমপান থেকে বেঁচে থাকাই টাকার শ্রাদ্ধ কমাতে পারে।

চামড়ায় ভাজ: অধূমপায়ীরা ধূমপায়ীদের চেয়ে দেখতে অনেক কম বয়সী মনে হয়। ধূমপানের প্রতিক্রিয়া চামড়ায় খুব দ্রুত পড়ে। ধূমপানের কারণে আপনার চামড়া কুঁচকে যাবে, হয়ে উঠবে রুক্ষ এবং পুরাতন।

সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস:  ধূমপান মানষের যৌন শক্তি এবং সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করে ফেলে। এটা ইরেক্টিল ডিসফাংসন, নিম্ন শুক্রানুর সংখ্যা, শুক্রাণু তত্পরতা সমস্যা এবং হরমোন বিষয় কারণ।

বাজে দর্শন দাঁত: আপনি যদি নতুন নতুন ধূমপায়ী হন তাহলে হঠাৎ করে আয়নায় ভালো করে নিজের দাঁতগুলো দেখুন। ধূমপানের জলন্ত কুফল আপিন আপনার চোখের সামনে দেখতে পাবেন। আপনার দাঁতের ওপর কুশ্রী হলুদ দাগ তেখতে পাবেন। আরো কিছুদিন পর লক্ষ্য করলে দেখবেন দাঁতের ফাঁকে কালচে দাগ পড়া শুরু করেছে। আর এসবই আপনার ধূমপানের কুফল। p2_6418_2

দুর্বল মনোবল: ধূমপান আপনার প্রাণশক্তি কমিয়ে আপনাকে করে তোলে দুর্ব মনোবলের অধিকারী। বিছানায় সঙ্গীনি থেকে শুরু করে সামাজিক বিভিন্ন স্থানেই এই মনোবল আপনাকে ভোগাবে নিশ্চিত।

ধূমপানে নির্ভরশীলতা: শেষ পর্যন্ত আপনি যখন ধূমপানে আসক্ত হতে থাকবেন তখন মনে হবে এতেই আপনি কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। এতে আপনার স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। তবে শেষ পর্যন্ত আপনি ওই নিষিদ্ধ বস্তটিতেই আসক্ত হয়ে পড়বেন। তখন আর পিছু ফেরার সুযোগও আপনি পাবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *