নকল চাল তৈরী করেছে চায়না! (ভিডিও)
নকল পণ্য বানানোতে উস্তাদ চীনের প্লাসটিক চালে সয়লাব এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে প্রধান টার্গেট ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামসহ চাল আমদানিকারক দেশুগুলো। আর বিকোচ্ছে মিনিকেট, পাইজাম কিংবা বাঁশকাঠির মত চেনা-পরিচিত নামেই। বাজার থেকে কিনে আনা সে চাল হাঁড়িতে ফুটে ভাতও হবে। কিন্তু জানতেও পারবেন না, আপনি যে চালের ভাত খেলেন সেটা কৃত্রিম চাল, আসলে প্লাস্টিক ছাড়া কিছু নয়।
চীন এ ভাবেই নকল প্লাস্টিকের চালে এশিয়ার বাজার ধরে নিচ্ছে। এমনকী যারা চালের কারবারি, দিনরাত চাল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তারাও ধরতে পারছেননা চীনের এই চালাকি। আর পাঁচটা চাইনিজ জিনিস যেমন সস্তায় মেলে, তেমন সস্তায় চাল কিনে ব্যাপক মুনাফা করতে সেই নকল চালই বিক্রির দিকে ঝুকছেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে নকল ডিম বানিয়েও প্রচুর পয়সা কামিয়ে নিয়েছিল চীন। বাইরে থেকে দেখে, এমনকী ডিম ফাটিয়েও কারও ধরার ক্ষমতা হয়নি, সে ডিমও নকল। না হাঁসের, না মুরগির। সেই ভেজালের তালিকায় এবার নবতম সংযোজন প্লাস্টিকের চাল।
বর্তমানে ভারতের বাজারে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে এই সস্তার চাল। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামেও যাচ্ছে। নজর আছে বাংলাদেশের দিকেও। সস্তায় দিচ্ছে আর মুনাফা বেশী বলে নকল চালেও চালের বাজার গ্রাস করে নিচ্ছে চীন।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে রান্নার আগে আপনি বুঝতেও পারবেন না, সেটা প্লাস্টিকের কিনা। পাশপাশি রেখে আসল-নকল বোঝার উপায় নেই। রান্না করে বুঝবেন, সেটাও সম্ভব নয়। সম্প্রতি ভারতের কেরালায় এমন নকল চাল প্রথমে নজরে আসে। তখনই ভারত সরকার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, চীন থেকে এই নকল চালের দেদার আমদানি হচ্ছে। প্লাস্টিকের সঙ্গে আলু ও রাঙাআলু মিশিয়ে তৈরি হয় এই নকল চাল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে জানিয়েছেন, এই প্লাস্টেকের চাল কিন্তু শরীরের পক্ষে মোটেও সুখের নয়। নিয়মিত খেলে প্রাণসংশয়ের আশংকা রয়েছে এতে।