প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
নাক, কান ও গলা এ তিনটি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর যে কোন একটি আক্রান্ত হলে সমস্ত শরীরটা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। নাকের পলিপাস এক বা উভয় নাকের ভিতর হতে পারে। প্রথমে ইহা দেখতে মটর শুটির মত হয়। আস্তে আস্তে বড় হয়ে নাসিকার ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় ন্যাজাল পলিপাস থেকে রক্ত বাহির হতে দেখা যায়। নাকের পলিপাস দেখতে আঙ্গুরের মত। নাসিকার্বুদ নাসা রন্দ্রের শৈষ্মিক ঝিল্লি হতে উদ্ভেদ হয়। এ রোগ লক্ষনে নাসারন্দ্রের অস্বাভাবিক আকুতি পরিলক্ষিত হয়। নাসিকা প্রদাহ বিবৃদ্ধির কারণে হতে পারে। নাসিকার্বুদ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অধিক হতে দেখা যায়। অনেক সময় বংশানুক্রমিকও হতে পারে। নাসাবুর্দ প্রায় সময় নরম, নীল বর্ণ, মসৃন শ্বেতময় ও পুজময় ক্ষত হতে দেখা যায়। নাকের ছিদ্র বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নি:শ্বাস নিতে হয়।
যদি রক্তে সিরাম আই, জি, ই এর পরিমান বেড়ে গেলে ঠান্ডা , সর্দ্দি, হাচি-কাশি ও নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়তে পাবে। নাকের ভিতরের শৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে এ্যালারজিক প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ঝিল্লি থেকে আস্তে আস্তে এক ধরনের মাংস পিন্ডের আবির্ভাব হয়। যা দেখতে আঙ্গুরের মত এ ধরনের সমস্যাকে নাকের পলিপাস বলে।
বার বার হাচি, নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরে, নাক বন্ধ থাকে, নাক দিয়ে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেক সময় মাথায় ব্যথা হয়, নাক ও কানে চুলকায়, নাকে ব্যথা ও সৃতি শক্তি কমে যায় এবং মুখ হাঁ করে নিশ্বাস নিতে হয়।
পলিপাস ও সাইনোসাইটিস পরীক্ষা নীরিক্ষা করার পর রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত লক্ষণ ও সমস্যা সংগ্রহ করে হোমিও চিকিৎসা নিলে অপারেশন ছাড়াই নাকের পলিপাস ও সাইনোসাইটিস এর যন্ত্রনা থেকে বিনা কষ্টে-অতি সহজে মুক্তি পাওয়া যাবে।
সর্তকতা: সাইনোসাইটিস ও পলিপাস এর রোগীকে সব সময় এ্যালার্জি জাতিয় খাবার, ঠান্ডা ও ধুলা-বালু হতে দুরে থাকতে হবে। যথা সময় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরবর্তীতে সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস ও এ্যাজমা দেখা দিতে পারে।
প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
ফেসবুক পেইজে লাইক দিন https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall