নাক বন্ধ রাইনোসাইনোসাইটিস

imagesসর্দি লেগে আছে বেশকিছু দিন ধরে। কিন্তু সারছে না। একই সঙ্গে নাক বন্ধ থাকা, মাথা ও চোখ ভারী বোধ হওয়া, ঘন ঘন শ্লেষ্মা তৈরি হওয়া, কাশি, নিঃশ্বাসে কষ্ট, দাঁতে ব্যথা ও সব সময় কান্তিবোধের মতো উপসর্গ যদি থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার সাইনোসাইটিস আছে

যাদের হতে পারে : আমাদের দেশের অসংখ্য মানুষ সাইনোসাইটিস রোগে আক্রান্ত। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবাই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে শিশুর েেত্র সংখ্যাটি কম হলেও রোগ নির্ণয় করা কষ্টকর। সাধারণত মাথার খুলির বায়ুপূর্ণ প্রকোষ্ঠগুলো সাইনাস নামে পরিচিত। যে কোনো কারণে সাইনাসগুলোয় প্রদাহ হলে ও ফুলে গেলে তাকে সাইনোসাইটিস বলে। এটি হতে পারে তামাকের ধোঁয়া, ভাইরাসজনিত সর্দির পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, অ্যালার্জিসহ বেশকিহু কারণে। ইনফেকশনের প্রধান কারণ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। তবে তুলনামূলক কম হলেও ছত্রাকের মাধ্যমে ইনফেকশন হয়। সাইনোসাইটিসের সঙ্গে প্রায় সবেেত্রই নাক বন্ধ ও প্রদাহ যুক্ত থাকে বলে এটি রাইনোসাইনোসাইটিস বলাই সঙ্গত (রাইনো শব্দের অর্থ নাক)।
কারণ : সর্দি বা ভাইরাস এ রোগের প্রধান কারণ। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ আলাদাভাবে চিহ্নিত করা কঠিন। ব্যাকটেরিয়াজনিত রাইনোসাইনোসাইটিস ভাইরাসের চেয়ে ৭ বা ১০ দিন বেশি স্থায়ী হয়, ব্যথা হয় বেশি এবং নাক থেকে পানির রঙ পরিবর্তিত হয়ে যায়।
চিকিৎসা : এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ  চিকিৎসা উত্তম,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।sinus_somosshay
রাইনোসাইনোসাইটিস : এটি এক ধরনের ক্রনিক রোগ। স্থায়িত্ব চার সপ্তাহের বেশি। ক্ষেত্রে রোগীকে দীর্ঘদিন ধরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে  হয়। যেহেতু রাইনোসাইনোসাইটিস পরিচিত অসুখ, সেহেতু চিকিৎসকরা রোগটি শনাক্ত ও যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করতে সম। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে এ রোগের সুচিকিৎসা পাওয়া যায়।
যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ থাকলে রাইনোসাইনোসাইটিস চিকিৎসার জন্য অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন, তা হলো যদি বছরে দুইবার মারাত্মক রাইনোসাইনোসাইটে আক্রান্ত হন বা রোগটি ক্রনিক হয়ে যায়। আপনার এমন কোনো সমস্যা আছে যা থেকে রাইনোসাইনোসাইটিস হতে পারে। যেমন অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। আপনার হয়তো অন্য রোগ আছে যেগুলো রাইনোসাইনোসাইটিসের কারণে বেড়ে যেতে পারে অ্যাজমা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি। প্রচলিত চিকিৎসায় যখন রাইনোসাইনোসাইটিসের উপশম হচ্ছে না, তখন আপনাকে শিরাপলো ইনজেকশনের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। আপনার যদি নাকের পলিপ, অ্যাজমা ও অ্যালার্জেনের প্রতিক্রিয়ার আগের ইতিহাস থাকে। আপনার শরীরের অন্যত্র যদি মারাত্মক ক্রনিক কোনো ইনফেকশন থাকে। যেমন ফুসফুসের নিউমোনিয়া। আপনি বা আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের যদি ইমিউনোডেফিসিয়েন্ট হয়ে থাকে অর্থাৎ দেহের রোগ প্রতিরোধ মতা কম থাকে।

সাইনোসাইটিস কী :- প্রাপ্তবয়স্ক হবার আগেই সাইনাসগুলি পরিণত হয়ে যায়। সাইনাসে অপ্রয়োজনীয় দূষিত জীবাণুর বৃদ্ধির ফলেই সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে। একিউট ও ক্রনিক এ দু’ভাগে সাইনোসাইটিসকে ভাগ করা হয়। একিউট সাইনোসাইটিসে ঘুম থেকে উঠে রোগীর কোনও অসুস্থতা থাকে না। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। সূর্য ডোবার আগে পর্যন্ত রোগী যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে। কিন্তু সূর্য ডুবে গেলে আর যন্ত্রণা থাকেনা।

ক্রনিক সাইনোসাইটিসে রোগীর মাথার যন্ত্রণা সেরকম থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে রোগীর ঘুম থেকে উঠেই কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা সেরে যায়। সাইনোসাইটিস-এর ফলে মুখের উপরিভাগে কোনও কোনও জায়গায় বেশ ব্যথা হয়। সে জায়গায় আঙ্গুলের চাপ দিলে কোন সাইনাস বেশি আক্রান্ত হয়েছে তা সহজেই বোঝা যায়।

সাইনোসাইটিস-এর কারণ :- সাইনোসাইটিস বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তবে কারও নাকের হাড় যদি বাঁকা থাকে তাহলে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি। বিজ্ঞানী চিকিৎসক হানেমান-এর যুগান্তকারী আবিষ্কার ক্রনিক মিয়াজম সোরার প্রভাবেই সাইনোসাইটিস বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। দূষিত পুকুরের জলে স্নান করলে, স্যাতঁসেতে পরিবেশে দীর্ঘদিন থাকলে, অত্যধিক সিগারেট খাওয়া ছাড়াও নস্যি ব্যবহার করলে সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে।

জীবিকার প্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরে ঘরে অনেককেই কাজ করতে হয়। তাই নাকের মাধ্যমে রাস্তার ধুলো শরীরে প্রবেশ করলে সাইনোসাইটিস হতে পারে। কম বয়সে অনেকেরই হাম. চিকেন-পক্স, টনসিল, ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়। এসব রোগের জীবাণু যদি পুরোপুরি শরীর থেকে না যায় তা পরবর্তীকালে নাকের পিছনে গিয়ে বাসা বাধে। এর ফলে কিছু দিন অন্তর নাক থেকে অনবরত জল পড়তে থাকে, মাঝে মাঝেই মাথা যন্ত্রণা হয়।

এ অবস্থায় যদি রোগ জিইয়ে রাখা হয় তাহলে পরবর্তীকালে তা ক্রনিক সাইনোসাইটিসে পরিণত হয়। ক্রনিক সাইনোসাইটিস ও যদি জিইয়ে রাখা হয় তাহলে নাকে সবসময় দুর্গন্ধ এবং কখনও কখনও নাক থেকে রক্তপড়ে। এর থেকে পরবর্তীকালে ফেরিনজাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস এমনকি আথ্রাইটিসও হতে পারে। এর ফলে চোখেরও ক্ষতি হতে পারে।

হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান : মনে রাখতে হবে সময়মতো চিকিৎসা এবং সচেতনতাই এ রোগের অন্যতম চিকিৎসা । একিউট বা তীব্র সাইনোসাইটিস সারাতে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যাতে এটা ক্রনিক পর্যায়ে না যায়।

ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *