ন্যশনাল একাডেমি অব সায়েন্স এ প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে এই প্রথম নারী ও পুরুষের ব্রেইনের পার্থক্য জানা যায়। মূলত গবেষণাটি ছেলে ইঁদুর ও মেয়ে ইঁদুরের মধ্যে করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে এই গবেষণার ফলাফল নারী ও পুরুষের মানসিক সমস্যা উদ্ঘাটনে অনেক উপকারি হবে।
আমাদের ব্রেইনের টেম্পোরাল লোবের এমিগডালা অংশ আবেগ, সামাজিক আচরন নিয়ন্ত্রণ করে। ইঁদুরের উপর করা পরীক্ষায় দেখা যায় ছেলে ইঁদুরের তুলনায় মেয়ে ইঁদুরের এমিগডালা অংশে শতকরা ৩০-৫০ ভাগ বেশি পরিমান গ্লিয়াল কোষ থাকে। এছাড়াও মেয়ে ইঁদুরের ব্রেইনে ছেলে ইঁদুরের তুলনায় এন্ডোক্যানাবিনয়েডস নামক রাসায়নিক উপাদান কম পরিমানে থাকে যা মানসিক স্বাস্থ্য অনিয়ন্ত্রনকারী উত্তেজক।
তাছাড়া দেখা যায় ছেলে ইঁদুর, মেয়ে ইঁদুরের তুলনায় খেলাধূলা তে বেশি আগ্রহী এবং খেলাধূলাতে তাদের পারফর্ম্যান্স ভাল। গবেষণায় মেয়ে ইঁদুরের ব্রেইনে কৃত্তিমভাবে এন্ডোক্যানাবিনয়েডস যোগ করা হয় ফলস্বরূপ মেয়ে ইঁদুরের ব্রেইনে গ্লিয়াল কোষের পরিমান কমে যায় এবং তাদের খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায় সাথে সাথে সামাজিক আচরন পরিবর্তন হতে শুরু করে।
এ গবেষণা থেকে গবেষকরা দাবি করেন পুরুষের মানসিক সমস্যা ও নারীদের মানসিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই গবেষণা ভবিষ্যতে সুদূরপ্রসারী ফলাফল নিয়ে আসবে।