মহানবী (সা:) কেয়ামতের যে-সব আলামতের কথা বলিয়া গিয়াছেন তাহার একটি হইল, পুরুষদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমিয়া যাইবে, এমনকি পঞ্চাশজন নারীর রক্ষণাবেক্ষন করিতে হইবে মাত্র একজন পুরুষকে । হ্যাঁ, পুরুষদের সংখ্যা ইতিমধ্যেই আশংকাজনকভাবে কমিতে শুরু করিয়াছে । কিছুদিন পূর্বে আমি মালয়েশিয়ার রাজধানীর বাইরের একটি ইউনির্ভাসিটিতে লেকচার দিতে গিয়েছিলাম। আমার শ্রোতাদের মধ্যে দেখলাম ছাত্রদের চাইতে ছাত্রীদের সংখ্যা তিনগুণ বেশী । দাজ্জাল মোবাইল নেটওয়ার্ক, ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করিয়াছে পুরুষদের সংখ্যা হ্রাস করিবার জন্য । ডাক্তারদের মতে, মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক থেকে যে রেডিয়েশান ছড়ায়, তাহা পুরুষদের শুক্রাণুর ক্ষতি করিয়া থাকে । ফলে এখনকার পুরুষরা ধীরে ধীরে পুত্র সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হইয়া পড়িতেছে । তাহারা অধিক সংখ্যায় কন্যা সন্তান জন্ম দিতেছে । আসন্ন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে যত এটম বোমার বিস্ফোরণ ঘটিবে, কেউ কেউ বলেন মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণে তাহাদের রেডিয়েশান বহুদূর পর্যন্ত ছড়াইয়া পড়িবে । এমনটা কেন ঘটিবে তাহা পদার্থ বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞরা ভাল বলিতে পারিবেন । আমি পদার্থ বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ নই । কাজেই আসন্ন মালহামায় / তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে একদিকে পুরুষরা বিপুল সংখ্যায় মৃত্যুবরণ করিবে, আবার অন্যদিকে জীবিত পুরুষরা পারমাণবিক রেডিয়েশানের শিকার হওয়ার কারণে পুত্র সন্তান জন্ম দিতে একেবারেই অক্ষম হইয়া পড়িবে । তাহারা কেবল কন্যা সন্তান জন্ম দিতে থাকিবে । মহানবী (সা:) বলিয়াছেন, একজন পুরুষকে পঞ্চাশ জন নারীকে দেখভাল করিতে হইবে । তিনি বলেন নাই যে, একজন পুরুষকে পঞ্চাশ জন নারীকে বিবাহ করিতে হইবে । বিবাহ সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্তই হালাল, চারের অধিক হারাম । সে সময় একজন পুরুষ দেখিতে পাইবে যে, তাহার মাতা বিধবা হইয়া গিয়াছে, তাহার বোন বিধবা হইয়া গিয়াছে, তাহার কন্যা বিধবা হইয়া গিয়াছে অথবা তাহার বোনের / কন্যার জন্য স্বামী পাওয়া যাইতেছে না । সে আরো দেখিতে পাইবে তাহার একাধিক খালা-ফুফু-মামী-চাচী-ভাগ্নি-ভাতিজী-কন্যা-নাতণী-শ্যালিকা-খালাতো বোন-মামাতো বোন-ফুফাতো বোনা-চাচাতো বোন ইত্যাদি সকলেই বিধবা হইয়া গিয়াছে । সুতরাং তাহাকে একাই সকলের দেখাশুনা রক্ষণাবেক্ষন অভিবাবকত্ব করিতে হইবে । সুতরাং আমি মনে করি, নারীদের সংখ্যা পঞ্চাশ গুণ বৃদ্ধি পাইবে- বিশ্বনবীর (সা:) এই ভবিষ্যতবাণী বাস্তবায়িত হইতে আর বেশী দিন বাকী নাই ।
মূল – মাওলানা ইমরান নজর হোসেন
অনুবাদ – বশীর মাহমুদ ইলিয়াস