রমজানে সংযম আমাদের আত্মাকে শুধু পরিশুদ্ধ করে না, নানা রোগবালাই থেকে নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ করে দেয়। রক্তনালীর রোগগুলোর অন্যতম হল রক্তনালীর ব্লকজনিত রোগ। যারা ধূমপানে আসক্ত তাদের মধ্যে এ রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি। নিজেকে ধূমপানমুক্ত করার সবচেয়ে উত্তম মাস হল রমজান। ধূমপান শুধু হার্টের রক্তনালীকে ব্লক করে না, হাত ও পায়ের রক্তনালীকে সমানভাবে ব্লক তৈরি করে। ধূমপান পরিত্যাগের দিন থেকেই এর সুফল পাওয়া যায়। তাই রমজান মাসের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আমরা জানি সভ্যতার সবচেয়ে নীরব ঘাতক হল কোলেস্টেরল। রক্তনালীর গায়ে ধীরে ধীরে কোলেস্টেরল জমে রক্তনালীকে এক সময় পুরোপুরি ব্লক করে ফেলে। রমজান মাসে খাবারের ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকেন। দিনের বেলায় খাদ্য ও পানি পরিহার করায় এ সময় অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমে যায়। খাবার নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে উত্তম মাস হল রমজান। এ মাসের সাধনা পুরো বছর কাজে লাগালে যে কেউ ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেন।
তৃতীয়ত, রমজানের শেষে আসে আনন্দের ঈদ। কিন্তু ঈদে ঘরমুখো মানুষ অনেক সময় দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে। এসব দুর্ঘটনায় হাত ও পায়ের রক্তনালী কেটে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগী মারা যেতে পারে। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির হাত বা পা ভেঙে গেলে খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে। প্রয়োজনে আঘাত পাওয়া হাত বা পা গামছা বা কোনো টুকরা কাপড় দিয়ে হালকাভাবে বেঁধে দিতে হবে। এতে রক্তনালী ছিঁড়ে যাওয়ার আশংকা অনেকাংশে কমে যাবে।
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall