পাইলস চিকিৎসা নিয়ে প্রতারনা # ইনজেকশান(নাইট্রিক এসিড) দিয়ে চিকিৎসা

image003

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

পাইলস রোগটি সর্ব সাধারণের নিকট অর্শ বা অরিশ হিসেবে পরিচিত। এ রোগে মলদ্বার থেকে মাঝে মধ্যে রক্ত যায়। কখনো বেশি কখনো কম। মলত্যাগের সময় অনেকের মলদ্বার ফুলে ওঠে আবার কারো কারো মাংশ পিন্ড ঝুলে পড়ে যা আবার আপনা আপনি ভেতরে ঢুকে যায় অথবা চাপ দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয়।

চিকিৎসা ও প্রতিকার কিঃ- যুগ যুগ ধরে এ জাতীয় রোগীরা প্রতারণার শিকার হয়ে আসছেন। অনেক হাতুড়ে চিকিৎসক আছেন যারা ইনজেকশান (নাইট্রিক এসিড)দিয়ে চিকিৎসার নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।fissure2.308133546 তারা অনেকে মলদ্বারে বিশাক্ত কেমিকেল ইনজেকশন দিচ্ছেন যাতে মলদ্বারে মারাত্মক ব্যথা হয় এবং মলদ্বারের আশে পাশে পচন ধরে এবং এ জন্য রোগী অবর্ননীয় দুঃখ দুর্দশা ভোগ করেন। পরিনামে কারো কারো মলদ্বার সরু হয় এবং বন্ধ হয়ে যায়।এমনকি ক্যান্সারও হয়ে যায় অনেকের। তখন পেটে মলত্যাগের বিকল্প পথ করে দিয়ে ব্যাগ লাগিয়ে দিতে হয়। আবার কোনো কোনো হাতুড়ে চিকিৎসক বিষাক্ত কেমিকেল পাউডার দেন যা মলদ্বারে লাগালেও মলদ্বার পঁচে যা হয়ে যায় এবং রোগীর একই পরিণতি হয় । তখন আর তার কিছুই করার থাকে না।ইদানিংকালে আমরা পত্রিকায় দেখতে পাই যে লেজার সার্জারির মাধ্যমে পাইলস চিকিৎসা হচ্ছে। বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। কারণ, এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে লেজারের মাধ্যমে পাইলস চিকিৎসায় কোনো অতিরিক্ত সুবিধা নেই। প্রচলিত অপারেশনে মলদ্বারের তিনটি মাংশ পিন্ড কাটতে হয়।Piles যা আজকাল শুধু তাদের জন্যই করা হয় যারা রিং লাইগেশন এর জন্য উপযুক্ত নয় এবং লংগো অপারেশন এর যন্ত্র কিনতে অম। লেজার দিয়ে পাইলস অপারেশন প্রচলিত অপারেশনের মতই। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে এেেত্র লেজার বিম দিয়ে কাটা হয় এবং প্রচলিত অপারেশনে সার্জিক্যাল নাইফ দিয়ে কাটা হয়। প্রচলিত অপারেশনের ন্যায় লেজার অপারেশনেও তিনটি ত স্থান হবে। লেজার অপারেশনের পর সাধারণত অপারেশনের মতই ব্যথা হয় ঘা শুকাতে ১/২ মাস সময় লাগে। এবং প্রচলিত অপারেশনের মতই একই ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ লেজার অপারেশনের পর কিছুটা কম ব্যথা হয় বলে দাবি করেছেন। বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞের নিকট এটি তেমন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়নি। ইংল্যান্ডের অত্যন্ত খ্যাতনামা সার্জন অধ্যাপক ডাঃ নিকলস এর মতে লেজার সার্জারিতে কোন অতিরিক্ত সুবিধা নেই। বরং এতে অত্যন্ত ব্যয় বহুল । চিকিৎসা ব্যয়ও বেশি। পাইলস চিকিৎসার জন্য বহু ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ইনজেকশন, রিংলাইগেশন, ইলেকট্রোকোয়াগুলেশন, আল্ট্রয়েড, ক্রায়োথেরাপি ইনক্রারেড ফটোকোয়াগুলেশন, এনাল ডাইলেটেশন, লেজার থেরাপি, প্রচলিত অপারেশন এবং লংগো অপারেশন। সবধরনের পদ্ধতির মেরিট এবং ডিমেরিট বিবেচনা করলে এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সার্জনদের প্র্যাকটিস বিবেচনা করলে তিনটি পদ্ধতি বেশি প্রচলিত আর তা হচ্ছে রিংলাইগেশন, লংগো অপারেশন ও প্রচলিত অপারেশন। এতকিছু বিবেচনা করলে এটি নির্দ্বিধায় বলা যায় যে পত্রিকায় লেজার সার্জারির ও ইনজেকশান এর বিজ্ঞাপন একটি অহেতুক, গণবিরোধী এবং চটকদার রোগী ভিড় করানো বিজ্ঞাপন ছাড়া আর কিছুই নয়।

হোমিওপ্যাথিঃ- মলদ্বারে কোনরূপ কাটা ছেড়া ছাড়াই (অপারেশন) ৯০-৯৫% রোগীর পাইলস রোগের সমাধান সম্ভব। এবং হোমিওপ্যাথি ডাক্তারগন যুগ যুগ ধরে ঔষধ দ্বারাই এ রোগের চিকিৎসা করে আসছে।এ চিকিৎসায় কোনো প্রকার শারীরিক তি হবার সম্ভাবনা নেই।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *