পাইলস হলে করণীয়

আলহাজ ডা. এমএন ইসলাম

কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি কাশি, ডায়রিয়া, গর্ভধারণ, লিভার সিরোসিস, প্রস্রাবে বাধা, মলদ্বারে ক্যানসার, দীর্ঘণ দাঁড়িয়ে কাজ করাসহ অনেক কারণে পাইলস হতে পারে। এ রোগ হলে মলদ্বার দিয়ে টাটকা রক্ত ঝরে। এটাই একমাত্র লণ। বিশেষ করে মলত্যাগের সময় মলের একপাশ দিয়ে টাটকা রক্ত আসতে দেখা যায়। মলদ্বার দিয়ে রস নির্গত হওয়া, যা মলত্যাগের আগে ও পরে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে থাকে, রক্তশূন্যতা, মলদ্বারে ব্যথা ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ।

চিকিৎসা না করালে মলদ্বারে আলসার, গ্যাংগ্রিন, ফোড়া বা অ্যাবসেস, থ্রম্বোসিস ইত্যাদি জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকর।

কোষ্ঠকাঠিন্য আক্রান্তদের জন্য পরামর্শ হলোÑ প্রতিদিন পানি পান করতে হবে পরিমাণমতো। আঁশযুক্ত খাবার অর্থাৎ টাটকা শাকসবজি, ফলমূল বেশি বেশি খেতে হবে। সকাল ও রাতে ২ চামচ ইসবগুলের ভূষি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পর পর দুই সপ্তাহ খাবেন। রাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। পর পর তিনদিন মলত্যাগ করা সম্ভব না হলে দুইটা অথবা তিনটা গ্লিসারিন সাপোজিটর মলদ্বারে নির্দেশমতো ব্যবহার করা যেতে পারে। মলত্যাগের বাসনা নিয়ে সকাল বা রাতে একটা নির্দিষ্ট সময় প্রতিদিন টয়লেটে যেতে হবে। মানুষ অভ্যাসের দাস। সে অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। এত কিছুর পরও যদি সুফল না আসে, তা হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখক : সদস্য, ডিসিসি এবং হোমিও বোর্ড, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

চেম্বার : ডা. এমএন ইসলাম মেডিক্যাল সেন্টার, এইচ-২৩ মোল্লা ভবন, আমতলী,

মহাখালী, ঢাকা

০১৭৫২১১৭১৬১, ০১৯৭০৫৫৫৯১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *