পার্কিনসন রোগের লক্ষণ ?

পার্কিনসন আসে ধীরে ধীরে। মৃদু উপসর্গ থাকে শুরুতে। প্রথমে যায় দৃষ্টি এড়িয়ে। তিনটি উপসর্গ দেখলে সন্দেহ করতে হবে। তবে আরো সাতটি উপসর্গ থাকতে পারে। তখন অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। পরিবর্তনগুলো নিজের মধ্যে বা প্রিয়জনের মধ্যে দেখলে নিউরোলজিস্টকে দেখানো উচিত। পার্কিনসনের রোগ শনাক্ত করা কৌশলী কাজ। সব রোগীর একই রকম লক্ষণ নাও থাকতে পারে। তাই ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা বেশি প্রয়োজন।

প্রধান লক্ষণগুলো হলো :

১. নড়ন-চলন খুব ধীরে

শার্টে বোতাম লাগাতে লাগছে বেশ সময়। একটি ফোনকল করতেও বেশ কালক্ষেপণ হচ্ছে। হাতের সমন্বয় প্রয়োজন এমন কাজ করতে সময় লাগছে। এর কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নড়ন-চলনের এ শ্লথগতিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ব্রাডিকাইনেসিয়া। রোগ ক্রমে অগ্রসর হয় বলে পার্কিনসনের রোগীদের মনে হবে হাঁটার সময় বা ঘুরে বেড়ানোর সময় শরীর নিশ্চল হয়ে যায়। পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে অক্ষমতা প্রকাশ পায়।

২. নিশ্চল অবস্থায় হাত বা পা কাঁপতে থাকে

৭০-৮০ ভাগ পার্কিনসনের রোগীর হাত, পা, চোয়াল ও মুখে নিশ্চল অবস্থায় কাঁপন বা দোলা হতে থাকে।

৩. রোগী অভিযোগ করেন  

শরীরের পেশি কঠিন হয়ে আসছে বা ব্যথা লাগছে। বাহু, পা ও শরীরের পেশি ও কাঠিন্য থাকলে চলনে হয় কষ্ট। সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে বা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয়। পার্কিনসনসের রোগী কিছু কিছু স্বতঃস্ফূর্ত দেহভঙ্গি করেন, তখন চলনে বেশ ঝাঁকুনি হয়।

অন্যান্য আরো লক্ষণ

৪. মনে হয় টলমল করছেন রোগী

পার্কিনসনের রোগীর পা টলমল করে। ভারসাম্য কম থাকে। হঠাৎ করেই অকারণে পড়ে যেতে চান। তারা ছোট ছোট পদক্ষেপে পা টেনে টেনে বা ঘষে ঘষে হাঁটেন। রোগ যত অগ্রসর হয়, ভারসাম্য বা দেহভঙ্গিতে পরিবর্তন আসতে থাকে। প্রথম দু-এক বছরে নয়, পরে। তবে পার্কিনসনের অন্যান্য লক্ষণ সে সঙ্গে না থাকলে, এটি ভিন্ন কারণেও হতে পারে।

সমস্যা শুরু হয় দেহের একপাশে  

আঙুলের কাঁপুনি থেকে বা পায়ের অদ্ভুত নিশ্চলতা থেকে, চলনক্ষমতার এই খর্বতা শুরু হয়, প্রথম একপাশে। পরবর্তীকালে হয়তো অনেক বছর পর অন্য পাশেও হতে পারে।

হাতের লেখা বদলে যায়

এমন রোগীদের হাতের লেখা ছোট আকারের হয় এবং আড়ষ্ট হয়ে যায়। এটি চলনক্ষমতা খর্ব হওয়ার একটি লক্ষণ।

মনে হয় বিষণ্ণ ও বলশক্তিহীন

চলন-নড়নে সমস্যায় আগেই বিষণ্ণতা দেখা দেয় এদের। মেজাজের এই সমস্যা এ রোগের বৈশিষ্ট্য।

হাঁটার সময় একটি হাত অন্য হাতের মতো দোলে না

ধীর চলন তো হয়, চলনও হয় কম। চলার সময় এক হাত দোলে কম অন্যটির চেয়ে।

গলার স্বর বোঝা কঠিন হয়

গন্ধ চেতনা লোপ পায়। এ ছাড়া তাদের কথা বলার স্বর বোঝা ও শোনা কঠিন হয়ে যায়। স্বর মৃদু মিইয়ে যায় এবং কথায় জড়তা হয়। কথা স্পষ্টভাবে বোঝা ও শোনা যায় না।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
01711-943435 ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইটwww.zamanhomeo.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *