ফিস্টুলা বা ভগন্দর চিকিৎসা বিজ্ঞানের আদি থেকেই ডাক্তারদের কাছে পরিচিত। ফিস্টুলার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। নালীটি মলদ্বারের কোন কোন স্তর ভেদ করেছে বা কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে মূলত তার ওপর নির্ভর করছে এর জটিলতা। বিভিন্ন ধরনের ফিস্টুলার চিকিৎসার জন্য রয়েছে বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি। রোগীদের ধারণা, আমাদের দেশে ফিস্টুলা হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি।
ফিস্টুলার কারণ কী এবং কী করে হয়?
এ রোগটির উৎপত্তি হয় মলদ্বারের বিশেষ ধরনের সংক্রমণের কারণে। মলদ্বারের ভেতরে অনেক গ্রন্থি রয়েছে, এগুলোর সংক্রমণের কারণে ফোড়া হয়। এই ফোড়া এক সময় ফেটে গিয়ে মলদ্বারের চতুর্দিকের কোনো এক স্থানে একটি ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে আসে এবং পুঁজ নির্গত হতে থাকে। এ সংক্রমণের কারণে মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয়। রোগী সারা দিন ব্যথায় কাতরাতে থাকে। পুঁজ বের হওয়ার পর ব্যথা কমতে থাকে। মলদ্বারের পার্শ্বস্থিত কোনো স্থানে এক বা একাধিক মুখ দিয়ে মাঝে মধ্যে পুঁজ বের হয়ে আসাকে আমরা ফিস্টুলা বা ভগন্দর বলি। সাধারণ লোকের ধারণা, কৃমির বাসা থেকে এর উৎপত্তি। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে এ ধারণাটি একেবারেই অমূলক বলে প্রমাণিত হয়েছে। মলদ্বারের ক্যান্সার এবং বৃহদান্ত্রের প্রদাহজনিত রোগেও ফিস্টুলা হয়ে থাকে। মলদ্বারে যক্ষ্মার কারণেও ফিস্টুলা হতে পারে।
ফিস্টুলা কত প্রকার?
এটিকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনল ১. সাধারণ, ২. মাঝারি জটিল ৩. অত্যন্ত জটিল।
সাধারণ ফিস্টুলা : এটি মলদ্বারের মাংসপেশির খুব গভীরে প্রবেশ করে না বিধায় চিকিৎসা সহজসাধ্য।
জটিল ফিস্টুলা : এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে এবং তা নির্ভর করে এর নালীটি মলদ্বারের মাংসের কতটা গভীরে প্রবেশ করেছে এবং কতটা বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে এটি বাইরের মুখ পর্যন্ত এসেছে। এগুলোর চিকিৎসা সত্যিকার দুঃসাধ্য। তারপর যদি এ নালী একের অধিক হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। এ রোগের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা উত্তম
ফিস্টুলা বা ভগন্দরের উপসর্গ কী কী?
এ রোগের লক্ষণ মূলত তিনটি : ১. ফুলে যাওয়া ২. ব্যথা হওয়া এবং ৩. নিঃসরণ বা পুঁজ ও আঠালো পদার্থ বের হওয়া।
বেশির ভাগ রোগীই আগে মলদ্বারে ফোড়া হয়েছিল বলে জানান। ভেতরে ফোড়া হওয়ার জন্য ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। যখন এগুলো ফেটে মুখ দিয়ে কিছুটা পুঁজ বের হয়ে যায় তখন ব্যথা এবং ফুলা কমে যায়। নিঃসরণ বা পুঁজ পড়া মাঝে মধ্যে হয়। কখনো কখনোই দুই-চার মাস এটি সুপ্ত থাকে। কখনো কখনো মলের সাথে পুঁজ ও আম পড়তে থাকে। সমস্যা একটানা না থাকার কারণে রোগীরা অনেক সময় ভাবেন যে, বোধ হয় সেরে গেছে। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের টোটকা ওষুধ বা হোমিওপ্যাথি খেয়ে মনে করেন, সম্ভবত ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু দু-চার মাস পর আবার যখন এই সমস্যা দেখা দেয় তখন আবার আমাদের কাছে এসে বলেন, স্যার এখন কী করা যায়?
চিকিৎসা = হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা উত্তম,ভালো হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিন।
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall