পিত্তথলির পাথর হোমিও চিকিৎসায় নিরাময় করা যায়

আলহাজ ডা. এমএন ইসলাম

পিত্তথলির রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ অসুখ হলো পিত্তথলির পাথর। পাথর ছাড়া এ অংশে রোগ খুব কম হয়। পিত্তথলি বা গলব্লাডার লিভার থেকে নির্গত পিত্তরসের মূল স্থান। এতে পিত্তরস থাকে এবং চর্বি জাতীয় খাবারের পর সংকুচিত হয়ে পিত্তরস পিত্তনালি দিয়ে ডিওডেনামে এসে অন্ত্রের ভেতর খাদ্যের ওপর ক্রিয়া করে। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পিত্ত ঘনীভূত হয়ে যে শিলা বা পাথরের উৎপত্তি হয়, তা-ই গল স্টোন।

সাধারণত বয়স চল্লিশ বছরের বেশি হলে এ রোগ আক্রমণ করে বসে। রোগটি পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি হয়। যারা অলসভাবে দিনযাপন করেন এবং অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলময় বা চর্বিযুক্ত খাদ্য খান। গুড়, চিনি ও মিছরি খান, তাদের এ রোগ হওয়ার প্রবণতা থাকে। যে সব পরিবারে গ্রন্থিবাত, হাঁপানি বা কপালে শিরঃপীড়া হওয়ার বিবরণ পাওয়া যায়, সেসব পরিবারের মানুষের পিত্তে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পিত্তথলির পাথর নিরা-ময়ে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কার্যকারিতা বহুকাল আগে থেকেই প্রমাণিত হয়ে আসছে। এ জন্য অশব্যই অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখক : সদস্য, ডিসিসি এবং হোমিও বোর্ড, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়

চেম্বার : ডা. এমএন ইসলাম মেডিক্যাল সেন্টার, এইচ-২৩ মোল্লা ভবন, আমতলী, মহাখালী, ঢাকা

০১৭৫২১১৭১৬১, ০১৯৭০৫৫৫৯১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *