প্রেগন্যান্সির পর পেটের মেদ কমাতে

প্রেগন্যান্সির সময় ছাড়াও শিশু জন্মানোর পরও নারীকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষত পেটের মেদ কমানো একটি বড় সমস্যা। আমরা জানি, বাড়তি ওজনের বিষয়ে নারীরা সবসময় সচেতন। কিন্তু চাইলেও প্রেগন্যান্সির পর সবাই জিমে যেতে পারেন না। এক্ষেত্রে মেদ কমানোর সহজ উপায় কি?

ঘরে কয়েকটি সহজ ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি প্রেগন্যান্সির পর পেটের মেদ কমাতে পারবেন:

বেলি ব্রিদিং

প্রথমে সোজা হয়ে ইয়োগা ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পেটের কাছে নিয়ে আসুন ধীরে ধীরে। এবার শ্বাস বন্ধ করুন। শ্বাস বন্ধ থাকা অবস্থায় আঙ্গুল দিয়ে নাভির মাঝ দিয়ে পেটে চাপ দিতে হবে। এবার আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস নিন এবং ছাড়তে থাকুন। এই ব্যায়াম করার সময় শ্বাস ৫ সেকেন্ড আটকে রাখুন। কয়েকবার এমনভাবে করুন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ সেকেন্ড এই ব্যায়াম করতে হবে। এই ব্যায়াম করলে পেট প্রসারণ এবং সংকোচনের মাধ্যমে আপনার পেটে চাপ ফেলবে এবং পেটের মেদ কমবে।

কেগেল

একদম প্রাথমিক ব্যায়ামের মধ্যে কেগেল আরেকটি ব্যায়াম। এই ব্যায়াম পেলভিক মাসেল কমাতে সাহায্য করে। ব্যায়াম করতে প্রথমে একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসতে হবে। এরপর চেয়ার থেকে উঠে আধা বসা অবস্থার মত দাঁড়াতে হবে। কয়েক সেকেন্ড ঐভাবেই থাকুন। এভাবে ১০-২০ রেপস করতে হবে।

প্লাঙ্ক

যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা এই ব্যায়াম সম্পর্কে জানেন। এই ব্যায়ামকে স্ট্যাটিক ব্যায়ামও বলা হয়। সচরাচর এই ধরনের ব্যায়ামে শরীরকে একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় ধরে রাখা হয়। সাইড প্লাঙ্ক কিংবা প্লাঙ্কের মাধ্যমে ঘাড় ও পীঠের মেদ কমানো যায়। এই ব্যায়াম করতে ইয়োগা ম্যাটে প্লাঙ্ক পজিশনে শুয়ে থাকুন। পুরো শরীর এক লাইনে সোজা করে রাখুন অন্তত ৬০ সেকেন্ড। একবার প্লাঙ্ক করে হাটুকে বিশ্রাম দিতে মেঝেতে ৩০ সেকেন্ড রাখুন। তারপর আবার প্লাঙ্ক করুন। এভাবে ৪-৫ বার করতে হবে।

সম্মুখে হাঁটা

প্রথমে দুই পা সমানভাবে রাখতে হবে। এবার কোমড়ে দুই হাত রাখতে হবে। তারপর সামনের দিকে একটি পা এগিয়ে দাঁড়াতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে সামনে এবং পেছনে হাঁটু যেন ৯০ ডিগ্রিতে থাকে। তারপর পেছনের পা হিল করে সামনের দিকে চাপ দিতে হবে। একবার এই স্টেপ শেষ হওয়ার পর ফেরত এসে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। ডান পায়ে এই ব্যায়ামের পর অন্য পায়ে মনোযোগ দিন। এভাবে ১০-২০ রেপস করতে হবে।