বংশগতভাবে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ

3

মরনব্যাধি রোগ ক্যান্সার মানুষের শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নানা ধরনের বাসা বাঁধে। ধূমপান, খাবার ও জীবনাচার, কর্মপরিবেশ প্রভৃতি কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে। কিন্তু ক্যান্সার হওয়ার পেছনে বংশগতির (জিন) জোরালো ভূমিকা থাকার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি পরিবারের কারো ভিন্ন ধরনের ক্যান্সার থাকলেও বংশগতির প্রভাবে পরবর্তী প্রজন্ম নতুন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের প্রকাশিত দুটি নিবন্ধে এমন দাবি করা হয়েছে। নিউ ইংল্যান্ড মেডিসিন ও নেচার সাময়িকীতে ওই নিবন্ধ দুটি প্রকাশিত হয়েছে। ২০ প্রজাতির ক্যান্সারের প্রায় ১০ হাজার ‘ক্যান্সার কোষ’ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন, স্তন, ফুসফুস ও মলাশয়ের ক্যান্সার কোষগুলোর মধ্যে বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। কোষগুলো বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার কোষের মধ্যে বংশগতি (জেনেটিক) সম্পর্কিত সামান্য পার্থক্য বিদ্যমান। এমনকি মলাশয় ক্যান্সারের সঙ্গেওএই পার্থক্য খুবই সামান্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বংশগতির সামান্য পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে ক্যান্সারের এই রূপ পরিবর্তন মানবদেহকে সংক্রমিত করে। পাশাপাশি নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পূর্বপুরুষের তুলনায় কমে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *