বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাসকৃতরা “ডাঃ” লেখা অধিকার বিষয়ক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের “প্রজ্ঞাপন”।

বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাসকৃতরা “ডাঃ” লেখা ও পেশার জন্য “রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” পাবার আইনগত অধিকার বিষয়ক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের “প্রজ্ঞাপন”।
——————————————————

অ্যালোপ্যাথি বিভাগঃ
শুধুমাত্র অ্যালোপ্যাথি কোর্সকৃতদের আইন মোতাবেক “রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” প্রদান ও অ্যালোপ্যাথি ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর অধিনে বি,এম,ডি,সি (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল)।

হোমিওপ্যাথি বিভাগঃ
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি কোর্স ও সার্টিফিকেট ও চিকিৎসা পেশার রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান এবং হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস পাসকৃত ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রনের জন্য দেশে আলাদা সরকারী আইন ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সরকারী হোমিওপ্যাথি আইন যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ ১৯৮৩ খ্রিঃ ও প্রবিধান-১৯৮৫খ্রিঃ..অনুুযায়ী প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রয়ত্ব “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (বি,এইচ,বি)”।
১৯৭২ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (বিএইচবি) কর্তৃক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ গুলো অধিভুক্ত এবং বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমমান/সমতুল্য/ Equivalent B.Sc (Pass) Degree ডিএইচএমএস (হোম) কোর্স পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রয়ত্ব বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (প্রস্তাবিতঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয়) ডিএইচএমএস কোর্সের পরীক্ষা গ্রহন ও সার্টিফিকেট প্রদান করে।

ডিএইচএমএস পাসকৃতদের ও ইন্টার্ণীশিপ কৃতদের চিকিৎসা পেশা গ্রহনকৃতদের “ডাঃ” হিসাবে অবিহিত ও “রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” প্রদান ও নিয়ন্ত্রন করে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের জন্য জারীকৃত

[ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরঃ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে (মোঃ আবদুর রউফ) উপ-সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ]
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় “প্রজ্ঞাপন”, নং এস, আর, ও ২০৭-আইন/৯৮, তারিখঃ ২১/০৯/১৯৯৮ খ্রিঃ

মোতাবেক কোর্সকৃতদের “ডাঃ” হিসাবে “রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” সহ আইনগত অধিকার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রয়ত্ব বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর “রেজিষ্ট্রার” কর্তৃক প্রদান করে আসছে।

রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্রঃ
বর্তমানে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর ওয়েব সাইডে চিকিৎসা পেশার অনুমতির জন্য রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র এর অাবেদন ফরম ও নিয়মকানুন দেওয়া আছে। আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সহ নিদিষ্ট পরিমান ফি “রেজিষ্ট্রার” বরাবর ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার করে রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র এর জন্য আবেদন করা। ডকুমেন্ট সহ আবেদন পত্রটি নিদিষ্ট সময়ে বোর্ড মিটিংয়ে পাস হবার পর ও রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদান এবং তা গ্রহনকারী ডাক্তারকে প্রতি ৫ বৎসর পর পর নবায়নযোগ্য।

[ “বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান” ও “বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান” অনুুযায়ীঃ

ডাক্তার (ডাঃ)
ইউরোপীয় পদ্ধতির চিকিৎসক; চিকিৎসক।
চিকিৎসাকারী, ডাক্তার, বৈদ্য, ভিষক।
Doctor; Physician.

হোমিওপ্যাথি
ডাঃ স্যামূয়েল হ্যানিম্যান (১৭৫৫-১৮৪৩) প্রবর্তিত রোগ সৃষ্টিকর বস্তুর সূক্ষ্মাংশ প্রয়োগে এরুপ রোগের চিকিৎসা প্রণালী; সদৃশ-বিধান।
Homoeopathy.

উল্লেখ্যঃ Western Medicine (অ্যালোপ্যাথি) ও হোমিওপ্যাথি পদ্ধতি প্রথম ইউরোপ মহাদেশে চিকিৎসা বিস্তার ও প্রসার এবং চিকিৎসা বিধান/পাঠ্যপুস্তক, প্রযুক্তি/কলাকৌশল প্রভৃতি প্রয়োগ চলতে থাকে। ফলে সেখানকার চিকিৎসকগণ নামের সঙ্গে ডাঃ লিখত ও লিখে আসছে। কালক্রমে তা বিশ্বব্যাপি বিস্তৃতি লাভ করে…]।

ডাক্তারদের পেশা লেখার ক্ষেত্রেঃ

বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক, ইউনানী বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি বা অল্টারনেটিভ সিস্টেম হিসাবে পরিচিত।
এখনও পেশার সঠিক নিয়ম অনুসরণ হচ্ছেনা। অনেকের জানায় নেই অ্যালোপ্যাথিদের মত হোমিওপ্যাথিদের “ডাঃ” হিসাবে গন্য করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২১/০৯/১৯৯৮খ্রিঃ প্রজ্ঞাপন এর অংশ “নমূনা রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” ছকে শুরুতে নামের অগ্রভাগে ডাঃ………………..লেখা ছক সহ অন্যান্য বিধিবিধান আছে।

(বিশ্বব্যাপি ডিএইচএমএস পাসকৃতরা সহ ডাক্তারগণ ডাক্তারী প্যাড, ভিজিটিং কার্ড, সাইন বোর্ডে, নেমপ্লেটে বুঝার সুবিধা ও প্রচলন আছে বিধায় চিকিৎসকগণ নামের অগ্রভাগে “ডাঃ” লিখে থাকে। তা তাদের অধিকার। কোন সমস্যা নেই)
যেমনঃ
ডাঃ…………

চিকিৎসা শিক্ষা/চিকিৎসক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান/চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত অন্যসব সরকারী/বেসরকারী ফরমঃ

সাধারণত নাম কলাম লেখার বিষয়ে লেখা থাকে (এসএসসি সনদপত্র অনুুযায়ী/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র অনুুযায়ী/জাতীয় পরিচয়পত্র অনুুযায়ী)।
সেখানে সেইভাবে লিখতে হবে। নামের কলামে নামের অগ্রভাগে “ডাঃ” লেখার সেখানে প্রয়োজন নেই। (ইন্টার্ণীশিপ সনদপত্র ও রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্রে নামের অগ্রভাগে “ডাঃ” লেখা আছে)।

পেশা কলামে পেশাটি ঠিক ভাবে লেখা দরকার।
পেশা লেখায় বিষয়ে আবেদনকারী যদি “ডাঃ” হয় বা “ডাঃ” পরিচয়দান করে, তাহলে বহুল ব্যবহার হয় ডাক্তার/চিকিৎসক কোন পদ্ধতির।

(নামের অগ্রভাগে/সঙ্গে অনেকে “ডাঃ” পদবী না লিখে পেশার স্থানে পদবী লিখছে। এটা নামের অংশ নয়। কোন সমস্যা নেই)

উদাহরণ সরকারী/বেসরকারী ফরমে যেমনঃ

নামঃ …………
(জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষাগত এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা ডিএইচএমএস বা চিকিৎসা পেশার রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র অনুুযায়ী) যা চাইবে সে অনুুযায়ী/মোতাবের লেখা দরকার।

পেশাঃ…………

এজন্য অ্যালোপ্যাথিগণ ক্ষেত্রে-
“পেশাঃ চিকিৎসক”।

হোমিওপ্যাথিগণ ক্ষেত্রে-
“পেশাঃ চিকিৎসক (হোমিওপ্যাথি)”।

(বিষয়টি সঠিক প্রচার ও প্রসার কম। সরকারী ও বেসরকারী সব দপ্তর সহ এক সময় সকলে জানবে ও বুঝবে)

পরিশেষঃ
মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারীকৃত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন উপস্থাপন করার পর কেহ ভুল ব্যাখ্যা দিলে সে হলো শিক্ষিত জ্ঞানপাপী।
প্রজ্ঞাপনটি ডিএইচএমএস কৃতদের জন্য শক্তিশালী সরকারী ডকুমেন্ট/দলিল/আইন।
বর্তমানে ডিজিটাল যুগ। সরকারী হোমিওপ্যাথি আইন অনুুযায়ী (মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ ১৯৮৩, প্রবিধান-১৯৮৫…) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস কোর্স সহ হোমিওপ্যাথি উচ্চ শিক্ষা, কারিকুলাম, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রনের রাষ্ট্রীয় একমাত্র সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড (প্রস্তাবিতঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি কাউন্সিল / বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয়) তাদের নিকট প্রেরিত (সরকারী চিঠি/ডকুমেন্ট) রাষ্ট্রীয় প্রকাশিত করার মত সব গুলো ডিএইচএমএস কোর্সের ও বৃহত্তর ডাক্তারদের সুবিধার জন্য ডকুমেন্ট, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন প্রভৃতি জনস্বার্থে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের নিজস্ব ওয়েব সাইডে দেওয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোম) পাসকৃতদের “ডাঃ” পদবী উল্লেখ সহ নিম্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন সহ ছক অনুুযায়ী নমূনা রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র (৫ পাতা)।

(মতামত)
—————————————————————-

DR. MD. ABDUS SALAM (SHIPLU).
DHMS (Rajshahi Homoeopathic Medical College & Hospital)
MSS (Asian University)
Govt. Registered Doctor/Physician (Homoeopathy)

Doctors Chamber & House:
DR. ABDUS SALAM HOMOEOPATHY HEALTH CARE,
“Doctors House”,
Jogonnath Para, Sherpur, Bogra,
BANGLADESH.

—————————————————————

অনুলিপিঃ

[ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
“প্রজ্ঞাপন”
নং এস, আর, ও ২০৭-আইন/৯৮
তারিখঃ ২১/০৯/১৯৯৮খ্রিঃ


প্রজ্ঞাপনের ছক অনুুযায়ী ডিএইচএমএস (হোম) পাসকৃতদের চিকিৎসা পেশার বর্তমান “নমূনা রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র” (বাংলা মাধ্যম) ]

(প্রজ্ঞাপন এর অনুলিপি সংগ্রহঃ “রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ বার্ষিকী ১৯৯৮”। ম্যাগাজিন)

(মূল প্রজ্ঞাপন কপি, সরকারী হোমিওপ্যাথি আইন/অধ্যাদেশ, প্রবিধান সহ অন্যান্য ডকুমেন্টঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডে পাওয়া যাবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *