বিব্রতকর সব ঘুমের অভ্যাস

images

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ

ঘুমের সমস্যা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কথা হয়, হয়ইতো। তাই না? আলোচনা এমন হয় যে, ঘুম হচ্ছে না, সারা রাত এপাশ-ওপাশ। কিন্তু ঘুমের সময় এমন সব ঘটে, যা বলাও যায়না, মনে হলে লজ্জা লাগে। বিব্রতবোধ তো হয়ই। ঘুমের সময় নাক ডাকে, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা বের হয়। বিছানা ভিজে যায়, ঘুমের সময় গ্যাস বের হয়, এসব বিব্রত হওয়ার মত কথা কাউকে বলা যায় না। আবার সহাও যায় না।

একজনে কথা এখানে উল্লেখ করছি, নামটা গোপন রাখা হচ্ছে, ভদ্র মহিলা বড়ো এক্সিকিউটিভ, অথচ দেখুন কি লজ্জা। তিনি নিজেই বললেন, ডাক্তারের কাছে, আর কত লুকিয়ে রাখা যায় বলুন? ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা ঝরার কথা। যখন খুব লালা ঝরে তখন বিব্রত করে তাকে, আবার যখন কেউ দেখে ফেলে তখন কি লজ্জা! ঘুম থেকে উঠে দেখেন বালিশ লালায় ভেজা, দাগ লাগানো, এই হীন অভ্যাস দুঃখ জাগানিয়া হয়ে যায় তার জন্য। লালা ঝরার ব্যাপারে তিনি বেশ সচেতন। অথচ চোখ যেই বুজে এলো, ঘুম এলো চোখে, তখন নিয়ন্ত্রণ থাকে কই? ঘুমের এইসব অভ্যাসের কথাগুলো হলো-

images (1)

নাক ডাকা

এদেশে নাক ডাকা লোকের সংখ্যা জানিনা তবে আমেরিকান ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ আমেরিকান প্রাপ্ত বয়স্ক লোক নিয়মিত নাক ডাকেন। বায়ুপথ সংকুচিত হলে এবং নাসা পথ ও গলায় টিস্যুর কম্পন হলে নাক ডাকা শুরু হয়। ঠান্ডা লাগা, এলার্জি এসবের কারণেও নাক ডাকতে পারে। তবে গুরুতর কারণও থাকতে পারে। যেমন-অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া, ঘুমের সময় বারবার ‘ক্ষণকালের শ্বাসরোধ’।

ফ্লোরিডা স্লিপ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ডা: উইলিয়াম কোহ্লার বলেন,’নাসিকা গর্জন কত জোরে হলো তা মুখ্য বিষয় নয়; যে অবরোধের কারণে নাক ডাকছে রাতে বা শ্বাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কিনা তার সঠিক কারণ নির্ণয় করা দরকার। যাহোক নাক ডাকা সচরাচর একটি সমস্যা বটে। তবে যদি সন্দেহ হয় যে এতে ঘুমের বেশ ব্যাঘাত হচ্ছে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।

ঘুমে সময় মুখ দিয়ে লালা ঝরা

কোহ্লার বলেন, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা ঝরতে পারে এমনিতেই। আবার কোন অসুখেও মুখ দিয়ে লালা ঝরতে পারে। নিয়মিত যদি লালা ঝরে তবে দেখতে হবে রাতে বায়ুপথ রুদ্ধ হয় কিনা বা স্লিপ এপনিয়া

হয় কিনা। লালা ঝরতেই পারে এমনিতেই। তবে অন্তর্গত রোগও থাকতে পারে। তাই ডাক্তারকে দেখানো উচিত।

images (3)

ঘুমের সময় হাঁটা

রাতের সময় কিছু অভ্যাস বেশ বিদঘুটে, লোকজনের নজরও টানে। অনেক সময় ভয়ের ও বিপজ্জনকও বটে। যেমন-ঘুমের সময় হাটা। মেরিল্যান্ডের নিদ্রা বিশেষজ্ঞ ডা: হেলেন এমসেলেম বলেন একথা। তিনি আরও বলেন, নিদ্রার মধ্যে স্বপ্ন দেখার পর্যায়ে আমরা অবশ, নিথর হয়ে থাকারই কথা। এই স্বাভাবিক অবশ ভাব যদি না থাকে, তাহলে স্বপ্নচারিতা আমাদেরকে সচল চঞ্চল করে তুলতে পারে। তা হতে পারে নিজের জন্য বা শয্যা সঙ্গীর জন্য বিপজ্জনক। অবশ হওয়াটা একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা। এমন অভ্যাস তীব্র হলে কেউ কেউ ঘুমের মধ্যে হেঁটে হেঁটে রান্না ঘরে চলে যেতে পারে, স্টোভ জ্বালিয়ে বসতে পারে, স্টোভ নেভাতে ভুলে যেতে পারে, আবার বেমালুম ভুলে যেতে পারে কি ঘটেছিল। যদি এমন জটিল সব কর্ম করতে থাকেন কেউ ঘুমের মধ্যে, তাহলে ডাক্তার দেখানো অবশ্য জরুরি।

ঘুমের সময় কথা বলাdownload (1)

ঘুমের সময় কথা বলা, কথোপকথনের মত শোনাতে পারে, বা এমনি বিড়বিড় করতে পারে। অনেকে বলে বোবায় ধরেছে। এমনি নির্দোষ, নিরীহ অভ্যাস। আবার ভয়ে চিত্কার করে উঠা বা গোঙ্গানো হতে পারে ঘুমের মধ্যে আতংকের জন্য। বাচ্চাদের হয় বেশি। রেম ঘুমের পর্যায়ে ঘটে থাকে, যাতে সকালে মনে থাকেনা এসব কিছু। এই অবস্থা খুব বেশি হলে ডাক্তার দেখানো জরুরি।

রাতে বিছানা ভিজানোdownload

বিছানা ভিজানো বেশ বিব্রতকর ও ক্লেশকরও বটে। ঘটনাচক্রে এক আধ রাত এমন হলে সমস্যা কি। যদি ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখা যায় যে বাথরুমে যাওয়া হচ্ছে, তাহলে এমন ভয়ের কিছু না, বলেন ডা: এম সেলেম। তবে বারবার বিছানা ভেজানো ভাবনার কথা, হতে পারে নৈশ খিচুনির কারণে। তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে।

পেট ফাঁপা হওয়া

ঘুমের সময় মলবায়ু বের হওয়া ঘটে, তবে অনেকেই তা টের পাননা। কোহলার বলেন, পাচকনলের প্রকৃতি এবং কি খেলেন এর উপর অনেকটা নির্ভর করে ব্যাপারটি। এটা সমস্যা নয়, তবে শয্যা সঙ্গীর কাছে বিব্রত হওয়ার মত ব্যাপার বটে। শয্যা সঙ্গী যদি বলেন, এমন করলেন রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে, তাহলে তো লজ্জা পাওয়ার কথা। তাই খাদ্যবিধি মেনে খাওয়া এবং সব ব্যাপারে সতর্ক হওয়া ভালো।

ঘুমের মধ্যে হেঁচকা টান3164_1

ঘুমের সময় অনেক সময় শরীর ছেড়ে দেয়, ঘুমে ঢলে পড়লে অনেক সময় শরীরে ঝাকুনি হয়। শরীর হেচকাটান দিতে পারে, ঘুমের মধ্যে আলোর ঝলক দেখা বা ফটফট শব্দ শোনা যেতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই। এগুলি নিরীহ, নির্দোষ অভ্যাস। সাহায্য নেয়ার সময়

কোহলার বলেন, অনেক অনেক বছর ধরেই আমরা ঘুমকে স্বাস্থ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মনে করিনা, বেশ আগ্রাহ্য করে এসেছি। আমরা ব্যায়াম, ওজন হরাস এসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা করি কিন্তু শরীর ভালো চলার জন্য ঘুম যে বড়ই প্রয়োজনীয় বিষয়। কতখানি ঘুম হলো, কেমন ঘুম হলো দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ঘুমের সময় যদি বড় কোন সমস্যা হয় নিজের বা শয্যা সঙ্গীর তাহলে ডাক্তার দেখানো অবশ্যই উচিত।

চিকিৎসা = এ সব সমস্যার জন্য একমাত্র চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি,আপনি চিকিৎসা নিয়ে দেখুন আল্লাহর রহমতে রেজাল্ট পাবেন ১০০% ইনশাআল্লাহ

===================================

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
 ফেসবুক পেইজে লাইক দিন  https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *