বিশ্বে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও ঘনত্ব ৫০ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছে

চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার নতুন একটি রিভিউ বা পর্যালোচনা অনুসারে, গত ৫০ বছরে সারা বিশ্বে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা ও ঘনত্ব ৫০ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছে। এ তথ্যের পর বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। খবর সিএনএন।

এই ফলাফল সঠিক ও এই পতন অব্যাহত থাকলে মানব প্রজননের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বীর্যের গুণমান একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হওয়ায় এটি সাধারণভাবে পুরুষদের স্বাস্থ্যগত অবস্থার অবনতি চিহ্নিত করছে।

নতুন বিশ্লেষণটি ২০১৭ সালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনার হালনাগাদ। এবার প্রথমবারের মতো এতে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া এবং আফ্রিকার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রিভিউটি হিউম্যান রিপ্রোডাকশন আপডেট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।

পর্যালোচনার সঙ্গে ‍যুক্ত একটি আন্তর্জাতিক দল পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা রেকর্ড করেছে এমন প্রায় তিন হাজার গবেষণা আমলে নিয়েছিলেন। যা ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে এর পূর্ববর্তী গবেষণা ওই বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

গবেষকরা বলছেন, ১৯৭৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা প্রতি বছর এক শতাংশের বেশি কমেছে। উপসংহারে বলা হয়, গড় শুক্রাণুর সংখ্যা ২০১৮ সালের মধ্যে ৫২ শতাংশ কমে গিয়েছে।

তারা দেখেছেন শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস ক্রমশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। ১৯৭৩ সালের পর প্রতি বছর গড়ে এক দশমিক ১৬ শতাংশ হলেও ২০২০ সালের পর থেকে এই হার প্রতি বছরে দুই দশমিক ৬৪ শতাংশ।

জনসংখ্যার নিরিখে ১৯৭৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি মিলিলিটারে গড় শুক্রাণুর সংখ্যা ১০৪ মিলিয়ন থেকে ৪৯ মিলিয়ন নেমে এসেছে। স্বাভাবিক শুক্রাণুর সংখ্যা প্রতি মিলিলিটারে ৪০ মিলিয়নের বেশি বলে মনে করা হয়।

তবে এই রিভিউ ও এর উপসংহার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এ ফলাফল বাস্তবসম্মত ও জরুরি। অন্যরা এই ডেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুক্রাণু গণনার পদ্ধতি এতটাই বদলে গিয়েছে যে, তুলনা সম্ভব নয়।

প্রায় সব বিশেষজ্ঞই একমত যে সমস্যাটি নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন।

এই রিভিউয়ের সঙ্গে জড়িত নন এমন একজন স্ট্যানফোর্ড মেডিসিনের ইউরোলজিস্ট মাইকেল আইজেনবার্গ। তিনি বলেন, কোনো প্রজাতির মৌলিক কাজগুলোর একটি প্রজনন। তাই আমি মনে করি প্রজনন হ্রাস পাচ্ছে যদি এমন কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়, তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান।

আরো বলেন, একজন মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্য ও তার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র রয়েছে। সুতরাং এ ফলাফল বলেছে, সম্ভবত আমরা আগের মতো সুস্থ নই।

ইউনিভার্সিটি অব ইউটাহ স্কুল অব মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ও সার্জন আলেকজান্ডার পাস্তুজাক বলছেন, বীর্য বিশ্লেষণের পদ্ধতি কয়েক দশক ধরে পরিবর্তিত হয়েছে। এটি আরো মানসম্মত হয়ে উঠেছে, কিন্তু পুরোপুরি নয়।

অবশ্য গবেষকরা বলেছেন, তাদের কাছে বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যাপ্ত ডেটা নেই। ৫৩টি দেশের তথ্য পর্যালোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

এ ছাড়া শুক্রাণুর সংখ্যার পতনের কারণ সুনির্দিষ্ট করেননি গবেষকরা। তারা বলছেন, এ বিষয়ে আরো গবেষণা দরকার।

প্রভাষক ডা. এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435
 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ইমেইল- dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইটwww.zamanhomeo.com