বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস- 

বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্ম জার্মানীতে। বিজ্ঞানী ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক। তার জীবনকাল ছিল ১০ এপ্রিল ১৭৫৫ থেকে ২ জুলাই ১৮৪৩ পর্যন্ত। মূলত হানেমানের জন্মদিন ১০ এপ্রিল দিনটি বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস হিসেবে পালান করা হয়।
ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান প্রথম চিকিৎসা বিজ্ঞানী যিনি ভেষজ বস্তুকে শক্তিকরণ করে তা সুস্থ মানবদেহে পরীক্ষার মাধ্যমে ওষুধের রোগজ শক্তির আবিষ্কার করেন। যা তার পূর্বে কোন বিজ্ঞানী করেননি। বিজ্ঞানের কৃত্রিম রোগ আবিষ্কার স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। ১৭৯০ সালে পৃথিবীর মানুষ প্রথম জানতে পারে তার আবিষ্কারের কথা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। তিনি তার নিজের শরীরেই প্রথম পরীক্ষা করেন ভেষজের প্যাথলজিক্যাল শক্তির নানাবিধ চরিত্র যা লক্ষণ হিসেবে মানবদেহে প্রকাশিত হয়।
ভেষজের এ সুপ্ত চরিত্র বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের পূর্বে কেউ জানতেন না। তিনিই প্রথম বলেন, ভেষজের প্যাথলজিক্যাল লক্ষণ যখন কোনো মানবদেহে পাওয়া যাবে তখন সংশ্লিষ্ট ভেষজের শক্তিকৃত মাত্রা সংশ্লিষ্ট ঐ ব্যক্তিকে প্রয়োগ করলে তিনি আরোগ্য লাভ করবেন। তিনি যার নাম দেন হোমিওপ্যাথি বা সদৃশ বিধান। ভেষজ দ্রব্যের প্রাকৃতিক এ শক্তিই চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বদলে দেয়।
হানেমানের জন্মবার্ষিকী সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। পৃথিবীর আর কোন বিজ্ঞানীর জন্মদিন এভাবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় না। ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী হানেমানের জন্মদিন পালিত হচ্ছে বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস হিসেবে।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন কলেজ ও সংগঠন দিবসটি পালন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *