বিয়ে মানেই খরচ! সেটা যে পক্ষেরই হোক না কেন। সবাই চায় তার বিয়েটা পৃথিবীর সেরা বিয়ে হোক। কিন্তু শুধু সাধ থাকলেই তো আর হবে না। সাধ্যও থাকতে হবে। যাদের খুব ধুমধাম করে বিয়ে করার সামর্থ্য নেই তারা চাইলে একটু কম খরচেই বিয়েটা সেরে ফেলতে পারেন। তবে তার জন্য প্রয়োজন বেশ কিছু পরিকল্পনার। এ ক্ষেত্রে বোল্ডস্কাইয়ের পরামর্শগুলো দেখে নিতে পারেন। আপনার বেশ কাজে লাগবে-
১. যদি আপনি আগামী বছর বিয়ে করতে চান এবং এ জন্য এ বছর থেকেই টাকা জমান তাহলে অনেকটা সময় পাবেন পরিকল্পনা করার এবং টাকা জমানোর। তবে খুব বেশি দীর্ঘসময়ের জন্য বিয়ে ঝুলিয়ে রাখবেন না। এমন একটি তারিখ ঠিক করুন যা আপনাকে টাকা জমাতে সাহায্য করবে আবার আপনাকে সুযোগও দিবে এই সময়টাতে নিজের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর খরচ জোগাতে। তাই বিয়ের ব্যপারে নির্দিষ্ট তারিখের দিকেই অগ্রসর হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. বিয়েতে ফুলের খরচটা অনেক বেশি হয়। এখানে যদি ভালোভাবে পরিকল্পনা করতে পারেন তাহলে খরচ কিছুটা বেঁচে যাবে। যততা সম্ভব মৌসুমি ফুল ব্যবহারের চেষ্টা করুন। স্টেজ সাজানো, গাড়ি সাজানো থেকে শুরু করে বাসরঘর সাজানো পর্যন্ত সব কিছুতেই কম দামি মৌসুমি ফুল ব্যবহার করুন। আমাদের দেশে এমন অনেক ফুল আছে যা দামেও সস্তা আবার দেখতেও সুন্দর। তবে ফুল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জায়গা, রঙ এবং ডিজাইনকে প্রাধান্য দিতে ভুলবেন না।
৩. বিয়েতে খাবারে প্রচুর টাকা খরচ হয়। এ ক্ষেত্রে ফিক্সড খাবার প্লেট হিসেবে বুকিং দিন। কিছুটা বাড়তি আয়োজন রাখুন। কারণ খাবার শেষ হয়ে গেলে লজ্জায় পড়তে পারেন। বিয়েতে মানুষ অনেক বেশি খাবার নষ্ট করে। এ ক্ষেত্রে এমনভাবে খাবার পরিবেশন করতে বলুন, যাতে খাবার নষ্ট না হয়। বুফের থেকে ফিক্সড মেনুতে খাবার কম নষ্ট হয়। তাই যদি খরচ বাঁচাতে চান তাহলে বুফের আয়োজন না করাই ভালো।
৪. বিয়ের জন্য নিমন্ত্রণপত্রগুলো অনেকে খুব ভারি ডিজাইন এবং দামি কাগজ ব্যবহার করে। এটা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। বিয়ে শেষ হয়ে গেলে এসব কার্ডের আর প্রয়োজন হয় না। অনেকেই কার্ডগুলো ফেলে দেয়। তাই অযথা দামি কার্ড করার কোনো মানে হয় না। বিয়ের জন্য অল্প দামে স্টাইলিশ কার্ড ছাপাতে পারেন। যা দেখতেও ভালো লাগবে আবার খরচও কম হবে।
৫. গায়ে হলুদের সময় অনেকে দামি ব্যান্ডের গানের আয়োজন করে। এতে অনেক টাকা খরচ হয়। আপনি চাইলে ডিজের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে খরচ কম হবে, তবে আনন্দটা কোনো অংশেই কম হবে না।
৬. রাতে বিয়ের পার্টি হলে খরচ অনেকাংশে বেড়ে যায়। আর দিনে বিয়ে হলে খরচটা তুলনামূলকভাবে কম হয়। রাতে লাইটিংয়ের পাশাপাশি খাবারেও বাড়তি খরচ থাকে। এক কথায় বলা যায়, দিনের থেকে রাতের অনুষ্ঠানে খরচ দ্বিগুণ হয়। তাই বিয়েতে যদি কম খরচ করতে চান তাহলে এর আয়োজন রাতে না করে দিনে করুন।
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall