বোর্ড ও মন্ত্রণালয় কর্তব্যে অবহেলাঃ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন-২০১৮ পাস হয়নি।

বোর্ড ও মন্ত্রণালয় কর্তব্যে অবহেলাঃ

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন-২০১৮ পাস হয়নি।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর অবহেলার কারণে, ২০১৩ হতে ২০১৮খ্রিঃ পর্যন্ত একাধিকবার সংশোধন-সংযোজন করা বহুল প্রতিক্ষিত “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন-২০১৮ (প্রস্তাবিত)” এ বছরও পাস হলো না। “আইন পাসে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন ও কাজ করছে” এ বক্তব্য কয়েক বছর যাবত প্রদান করে সংশ্লিষ্টরা দায় বা দায়িত্ব শেষ করছে। ফলে হোমিওপ্যাথি নিয়ন্ত্রণ-ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস পাসকৃতদের চিকিৎসক রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র প্রদানের জন্য “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কাউন্সিল” ও ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস কোর্সকৃতদের উচ্চশিক্ষা-গবেষণার জন্য বেসরকারি “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা এখন হচ্ছেনা। অপেক্ষায় হয়ে থাকলো চারদশকের আন্দোলন-সংগ্রামের বহুল প্রতিক্ষিত ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্নাতক (পাস) সমমান।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু) এর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান চারদশকের বঞ্চনার স্বীকার ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে অবশ্যই স্নাতক (পাস) সমমান প্রদান জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ০৪/০২/২০১৬খ্রিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ০২/০১/২০১৭খ্রিঃ মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে লিখিতভাবে পত্র প্রদান করা হয় ও প্রস্তাবিত আইনে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক (পাস) ডিগ্রি সমমান প্রদান করতে এবং আইনে ডিএইচএমএস’দের স্বার্থ বিরোধি একাধিক ধারা-উপধারা সংশোধন করার জন্য গত ২০মে হতে ৩০মে’২০১৮খ্রিঃ পর্যন্ত দেশব্যাপী যার যার অবস্থান হতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করা হয় এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়ে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করে। সমমান প্রদান বিষয়ে বাংলাদেশ ও বর্হিবিশ্বের ডকুমেন্ট ও লিখিত আবেদনপত্র সহ ০৩/০৬/২০১৮খ্রিঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজিস্টার্ডকৃত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর চেয়ারম্যান, রেজিষ্ট্রার, সহকারী রেজিষ্ট্রার, বোর্ড সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ বরাবর প্রেরণ করেছি। হোমিওপ্যাথি বোর্ড প্রস্তাবিত আইন সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে আইন পাস হওয়ার কথা থাকলেও শুধু জমা প্রদানের মাধ্যমে বোর্ড ও মন্ত্রণালয় সিমাবদ্ধ রেখেছে এবং দায় (দায়িত্ব) শেষ করেছে। যা কাম্য নয়। একটি মহল প্রধান সমন্বয়ক কে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) দের দাবি বিষয়ক কলাম লেখা ও নার্য্য সংগ্রাম থামানোর দীর্ঘদিন যাবত ব্যর্থ চেষ্টা করে আসছে। সেই মহল বিশেষ সম্ভবত জানেনা, ডিএইচএমএস’রা বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হয়েছে, সব বুঝে ও জানে। ডিএইচএমএস’রা যার যার অবস্থান হতে তারা কাজ করছে। আজ আর প্রধান সমন্বয়ক কে থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে কাজ হবেনা। তবে সংসদ না থাকলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে পাস করা যায়। তবে তা নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী সংসদে পাস করতে হবে। তবে সম্ভবত কর্তৃপক্ষ তা করবে না। সময় থাকতে কর্তৃপক্ষ করেনি।

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচিত সংসদ’রা ও সরকার গুরুত্ব অনুধাবন করে অবশ্যই বহুল প্রতিক্ষিত পূর্ণাঙ্গ “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন (প্রস্তাবিত)” জাতীয় সংসদে আইন পাস করবে এ অাশাবাদ ব্যক্ত করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতায়, হোমিওপ্যাথি আইন পাসে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিদের প্রতিক্ষার সময় বাড়লো বা দীর্ঘ হলো। ফলে হোমিওপ্যাথি অগ্রযাত্রা পিছিয়ে গেল।

সংগৃহীতঃ হোমিওনিউজ.কম  https://homoeonews.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *