ভ্রূণ পরীক্ষা করে বংশগত রোগ নির্ণয়

untitled-6_45690
টেস্টটিউবে তৈরি ভ্রূণে বংশগত রোগব্যাধি নির্ণয়ের পদ্ধতিকে প্রিইমপ্লানটেশন জেনেটিক ডায়াগনোসিস সংক্ষেপে পিজিডি বলা হয়। মাতৃগর্ভে স্থাপনের আগেই এই পরীক্ষাটি করা হয়।

এই পদ্ধতিতে সাধারণত ভ্রূণ সৃষ্টির তৃতীয় দিনে একটি কোষ বের করে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন ক্রোমোজোমে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি-না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দম্পতিরা এই ধরনের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন, যদি তাদের বংশগত কোনো অসুখ-বিসুখ থাকে। তারা জানতে চান অনাগত সন্তানও এই ধরনের অসুখের সম্মুখীন হতে পারে কি-না। চিকিৎসকরা ভ্রূণে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরতে পারলে সেটা বিপন্ন করে ফেলেন। শুধু সুস্থ ভ্রূণই মাতৃগর্ভে স্থাপন করা হয়।

সমালোচকরা মানবভ্রূণকে এইভাবে বাছাই করা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন। তাদের আশঙ্কা, এর ফলে প্রতিবন্ধী বাচ্চা ও তাদের মা-বাবাকে দূরে ঠেলে দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া এই ধরনের পরীক্ষা খুব সহজও নয়। জিনগত কিছু অসুখ-বিসুখ অনেক দেরিতে ধরা পড়ে। অনেক সময় প্রাপ্তবয়স্ক হলে দেখা দেয়। অন্যদিকে পিজিডির সমর্থকরা বলছেন, নতুন প্রযুক্তিতে সম্ভাবনার দ্বারও উম্মুক্ত হতে পারে। এতে শুধু রোগব্যাধি শনাক্ত করাই সম্ভব হবে না, ভবিষ্যতে ভ্রূণকে প্রভাবিতও করা যেতে পারে।

পিজিডির সমর্থকরা আরও যুক্তি দেন, এই পদ্ধতির ফলে দম্পতিরা ভ্রূণে কোনো বংশগত রোগের আশঙ্কা দেখা দিলে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তারা বাচ্চাটি চান কি-না। জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগ ২০১১ সালে ভ্রূণরক্ষা আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। তখন থেকে পিজিডি পদ্ধতির প্রয়োগ সীমিত পরিসরে অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এ পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে একটি এথিক কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া জিন পরীক্ষা শুধু অনুমোদিত পিজিডি কেন্দ্রেই সম্পন্ন করতে হবে। নতুন বিধিবিধান এটাও ঠিক করবে, পিজিডি কেন্দ্রগুলোকে কী ধরনের শর্তাবলি পূরণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জার্মানিতে বছরে এই ধরনের পরীক্ষা ২০০ থেকে ৩০০ হতে পারে।

হবিজ্ঞান প্রবাহ, সূত্র : বিবিসি

=======================

জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *