মলদ্বারের ব্যথা ও এনাল ফিশার

images (1)

মলদ্বারের ব্যথায় অনেক লোক ভুগে থাকেন। ফিশার মানে মলদ্বারে ঘা অথবা ফেটে যাওয়া। এটি দুই ধরনের হয়। তীব্র (একিউট) ফিশার হলে রোগীর মলদ্বারে অসম্ভব ব্যথা হয়। দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) ফিশারে ব্যথার তারতম্য হয়। এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে তরুণ ও যুবকদের বেশি হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়েরই এটি সমানভাবে হয়ে থাকে।

কারণ এবং কী করে ঘটে?
এটি হওয়ার জন্য সাধারণত দায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলত্যাগের সময় কোত দেয়া। এ ছাড়া শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়। যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এ সমস্যাটি কম হয় বলে মনে করা হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, কাঁচা ফলমূল, আলুর ছোলা, ইসবগুলের ভুসি ইত্যাদি। চা-কফি বা মদ খাওয়ার সাথে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। ঘন ঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে ফিশার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা মলদ্বারের ভেতরের চাপ মেপে দেখেছেন। ফিশারে চাপ তেমন একটা বাড়ে না যদিও আঙুল দিয়ে পরীা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সঙ্কুচিত বলে মনে হয়।piles
উপসর্গ
মলদ্বারে ফিশারের প্রধান লণ হলো ব্যথা ও রক্তরণ। এ ধরনের ব্যথা সাধারণত মলত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘণ্টা ধরে ব্যথা চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফুগাক্স’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয়; কিন্তু সে ব্যথা মলত্যাগের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে না। রক্তজমাট বাঁধা পাইলসেও ব্যথা হয়; কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে চাকা আছে বলে অভিযোগ করে।
এই রোগে রক্তরণের পরিমাণ সাধারণত কম; কিন্তু কারো কারো অতিরিক্ত রক্ত যেতে পারে। আমি অল্পবয়সী এক অফিসারকে এরূপ উপসর্গসহ চিকিৎসা করেছি। তার অতিরিক্ত রক্তরণে তীব্র রক্তশূন্যতা হয়েছিল।
দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) এনাল ফিশারের রোগী একটু ভিন্ন ধরনের উপসর্গের কথা বলে। তারা কখনো কখনো তাদের মলদ্বারে অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড, পুঁজ পড়া, চুলকানি অথবা এসব একত্রে হয়েছে বলে অভিযোগ করে। এ েেত্র রক্তরণ থাকতে পারে অথবা নাও থাকতে পারে। ব্যথা সাধারণত তীব্র হয় না অথবা অনেক সময় ব্যথা থাকেই না।
ফিশারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্রাবের সমস্যায় ভোগেন এবং মহিলারা কখনো কখনো যৌন মিলনে বেদনা অনুভব করেন; যদিও রোগীরা বুঝতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেই এমন হয়েছে। তবুও যখন ব্যথা শুরু হয় তখন রোগী ভয়ে টয়লেটে যেতে চান না এবং মলত্যাগের বেগ হলে তাতে ব্যথার ভয়ে সাড়া দিতে চান না।
তীব্র ব্যথা সম্পন্ন ঘা (একিউট ফিশার)
এ সময় মলদ্বার পরীা করলে দেখা যায় সেটা খুবই সঙ্কুচিত অবস্থায় আছে। তীব্র ব্যথার কারণে মলদ্বারের ভেতরের ঘা দেখা দুঃসাধ্য। কোনো যন্ত্রও প্রবেশ করানো যায় না। অবশ্য সরু যন্ত্র দিয়ে পরীা করা যায়।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যথাসম্পন্ন ঘা (ক্রনিক ফিশার)
ক্রনিক ফিশার বলা হয় যখন একটি সঠিকভাবে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে ঘা দেখা যায়। এ েেত্র একটি মাংসপিণ্ড বা ‘গেজ’ দেখা যায়। মলদ্বারের ভেতরেও একটি মাংসপিণ্ড (Hypertrophied anal papilla) দেখা যেতে পারে, যাকে অনেকে টিউমার বলে ভুল করে। এ েেত্র পায়ুপথের ভেতর যন্ত্র দিয়ে পরীা করা উচিত, যাতে টিউমার বা প্রদাহজনিত কারণ চিহ্নিত করা যায়। এ ফিশার সংক্রমিত হয়ে কখনো কখনো ফোঁড়া দেখা দিতে পারে এবং তা থেকে ফিস্টুলা (ভগন্দর) হয়ে পুঁজ পড়তে পারে।
প্রতিরোধ
কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করা উচিত এবং বেশি শক্তি প্রয়োগ করে মলত্যাগ করা উচিত নয়। বারবার মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করা এবং ডায়রিয়ায় দ্রুত চিকিৎসা করা উচিত।
চিকিৎসা
এ রোগের জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা উত্তম,অপারেশান ছাড়াই হোমিওপ্যাথি মেডিসিন খেলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সার্জিক্যাল চিকিৎসা
মলদ্বারের মাংসপেশির সম্প্রসারণ করা (এনাল ডাইলেটেশন) এ পদ্ধতিটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য বেশির ভাগ সার্জন এটির বিপ।ে এ পদ্ধতির জন্য কোনো কোনো রোগীর মল আটকে রাখার মতা ব্যাহত হতে পারে।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *