মুখের দুর্গন্ধ

download (1)

মুখ থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় হ্যালিটোসিস। এ সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই আছে হীনমন্যতা। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই।
কারণ : মুখের দুর্গন্ধের উৎস হিসেবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী মুখ গহ্বর। সে ক্ষেত্রে বহুলাংশে দায়ী জিহ্বা, বিশেষ করে জিহ্বার পেছনের অংশ। জিহ্বার ওপরিভাগ অমসৃণ হওয়ায় সেখানে খাদ্যকণা জমা হতে পারে। এর সঙ্গে জিহ্বার মৃত কোষ ও ব্যাকটেরিয়া মিলে তৈরি করে ‘বায়োফিল্ম’ নামক আস্তরণ, যেখানে বসতি গড়ে তোলে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া। কিছু ব্যাকটেরিয়া খাবারের প্রোটিন ভেঙে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরির সময় নির্গত করে উদ্বায়ী সালফার উপাদান, যা দুর্গন্ধ তৈরি করে।
মাড়িরোগের কারণ : মাড়িতে পকেট বা ফাঁকা সৃষ্টি হলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার ঘটে। গুরুতর ক্ষেত্রে জমা হতে পারে পুঁজ। দেখা দিতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। ডেন্টাল ক্যারিজের কারণে সৃষ্ট দাঁতের গভীর গর্তে কিংবা সম্প্রতি দাঁত তোলার ফলে চোয়ালে সৃষ্ট গর্তে ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার ঘটিয়ে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। দুই দাঁতের মধ্যে ফাঁকা তৈরি হলে, দাঁত আঁকাবাঁকা হলে, কোনো দাঁত কাত হয়ে থাকলে, ফিলিংয়ের প্রান্তভাগ অমসৃণ হলে সেখানে খাবার আটকে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার ঘটাতে পারে। ফলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। যারা অপসারণযোগ্য কৃত্রিম দাঁত পরেন, সে দাঁত ঘুমানোর সময় খুলে না রাখলে, ঠিক মতো পরিষ্কার না করলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। কারণ অপসারণযোগ্য কৃত্রিম দাঁতের যে অংশ মাড়ি ও তালুতে বসানো থাকে, তা কিছুটা এবড়ো থেবড়ো। সেখানে খাদ্যকণা আটকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বিস্তার ঘটতে পারে। তা থেকেও হতে পারে দুর্গন্ধ।images (1)
মুখে ভাইরাসজনিত ঘা দেখা দিলে, ধূমপান বা মদ্যপানে, মানসিক চাপে, উপোসকালে, এমনকি নারীদের মাসিক চলাকালেও দেখা দিতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। সহজে উদ্বায়ী গ্যাস নির্গত করে এমন খাবার, যেমনÑ পেঁয়াজ, রসুন, বাঁধাকপি, মুলা, ডুরিয়ান নামক কাঁঠালজাতীয় ফল খেলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। মুখ গহ্বরে শুষ্কতা সৃষ্টিকারী ওষুধের প্রভাবে মুখে লালা নিঃসরণ কমে গিয়ে জীবাণুর বিস্তার ঘটতে পারে, দেখা দিতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। মুখ গহ্বরের উৎসের বাইরেও নাকের গহ্বর বা ন্যাসাল ক্যাভিটি, সাইনাস, গলা, ফুসফুস, অন্ননালি, পাকস্থলী, কিডনি, লিভার ইত্যাদির সমস্যার কারণেও মুখ দুর্গন্ধ হতে পারে বিরল ক্ষেত্রে।
প্রতিকার : জিহ্বার ওপরিভাগ দিনে দুবার পরিষ্কার করতে হবে। এজন্য টুথব্রাশ, টাং ক্লিনার, টাং স্ক্র্যাপার ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি চা চামচ উল্টো করে তা দিয়েও জিহ্বা পরিষ্কার করা যায়। স্কেলিং ও রুট প্লেনিং চিকিৎসার মাধ্যমে মাড়ির ভেতরের পাথর এবং দাঁতের শেকড়ের আবরণ পরিষ্কার করে ফেললে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যার উন্নতি হতে পারে।
মুখ গহ্বরের শুষ্কতা বা জেরোস্টোমিয়া রোগে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার বেশি ঘটে, যা দুর্গন্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। মুখ গহ্বরের শুষ্কতা দূর করতে চিনিমুক্ত চুইংগাম চিবোনো যেতে পারে, যা মুখে লালা নিঃসরণ ঘটিয়ে মুখের জীবাণু ধুয়ে ফেলে। তাছাড়া লালার আছে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী ক্ষমতা। ঘুমানোর সময় মুখ গহ্বর কর্মহীন হয়ে লালা নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তখন মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কাজ চালিয়ে যেতে পারে নির্বিঘেœ। এ কারণে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখের দুর্গন্ধের তীব্রতা বেশি দেখা দেয়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। ব্যবহার করা যেতে পারে মাউথওয়াশ। মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধী উপাদানসমৃদ্ধ চুইংগাম চিবোলেও ফল পাওয়া যেতে পারে। যারা মুখে অপসারণযোগ্য বাঁধাই করা দাঁত পরেন, তারা এ দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন। ঘুমানোর সময় বাঁধাই করা দাঁত না পরে জীবাণুবিরোধী তরলে ডুবিয়ে রাখবেন। মুখের দুর্গন্ধরোধে নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করা, দাঁত ব্রাশ করা, দাঁতের সুতা বা ফ্লোস দিয়ে দুদাঁতের ফাঁকা পরিষ্কার রাখা,

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 // 01670908547
ইমো 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
 ফেসবুক পেইজে লাইক দিন  https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *