মুখের ভিতর ঘা কেন হয় এবং এর প্রতিকার

downloadমুখের ঘা এর বিভিন্ন ধরন মাইনর এপটাস আলসারঃ ১০ জনের মধ্যে ৮ জনেরই এই আলসার দেখা দেয়। এই ধরনের আলসার আকারে ছোট, গোল, দেখতে হলুদ এবং চারপাশে লাল হয়। এটি ৭ দিনের মধ্যে চলে যায়। এটা ১ টা থেকে ৫ টা মুখের ভেতরে হতে পারে। তুলনামুলক ভাবে অন্য মুখের আলসার এর থেকে ব্যথা কম।
মেজর এপটাস আলসারঃ খুবই ব্যথা যুক্ত এই আলসার ১০ জনের মধ্যে ১ জনের হয়। আকারে অনেক বড় থাকে। এটি ২ সপ্তাহ থেকে ১ মাস থাকতে পারে। ব্যথার জন্য শরীরে জ্বর এসে যায়,কিছু খাওয়া কষ্ট হয়। সাধারণত এই আলসার তাদের হয় যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, Diabetes আছে তাদের ক্ষেত্রেও এটা দেখা যায়।

হারপেটিফরম এপটাস আলসারঃ এটি আকারে ছোট হয় কিন্তু একসাথে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক গুলো হয়। ১ মাস থেকে ২ মাস পর্যন্ত থাকে। এই আলসার প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনের হয়।
মুখের আলসার হওয়ার কারন-
কেন এই আলসার হয় তার কারন এখনও শতভাগ জানা যায়নি। তারপরেও কিছু কারন বিজ্ঞানীরা বের করেছেন যার ফলে এই আলসার হতে পারে।
১) ভিটামিন, আয়রন স্বল্পতা। যেমন ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ অথবা অন্য কোন ভিটামিন।
২) হরমোনাল কারনে হতে পারে। অনেক সময় মেয়েদের মাসিক এর আগে অথবা পরে এই আলসার হয়। মেনোপজ এর পরেও এই আলসার হতে মারে।
৩) মুখের মাড়ি আঘাতগ্রস্ত হলে। জোরে জোরে দাঁত ব্রাশ করলে।
৪) ধূমপান, নেশা জাতীয় জিনিস,পান,মদ খেলেও মুখে ঘা হয়।download (1)
৫) যাদের এইডস, Diabetes, ক্যানসার আছে তাদের হয়।
৬) রাতে ঘুম না হলে, অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করলে মুখে ঘা হতে পারে।
৭) বংশ গত কারনেও মুখের ভিতর আলসার হয়।
৮) মুখে অ্যালার্জি থাকলেও ঘা হয়।
৯) ঠাণ্ডা লাগলে মুখে ঘা হতে পারে।
প্রতিকার-
১) বাইরের পানীয় থেকে বিরত থাকা। মসলা যুক্ত খাবার পরিহার করা।
২) রাতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমান।
৩) ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া।
৪) নরম দাঁত ব্রাশ ব্যবহার করা, মুখে কোন চাপ না দেওয়া।
৫) মোটামুটি ভাবে ৭ দিনের মধ্যে এই ঘা ভালো হয়ে যায়। যদি ভালো না হয় অথবা ব্যথা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক carmellose sodium, benzocaine gels যুক্ত পেস্ট ও জেল মুখে লাগানো যায়। Chlorhexidine mouthwash মাউথ অয়াশ মুখের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। বাজারে Bongel cream, viodin mouthwash, riboflabin পাওয়া যায়, যেটা মুখের ঘা এর জন্য ভালো।download (2)
৬) ঘরে বসে গরম পানিতে লবন অথবা বেকিং সোডা দিয়ে কুলি করলে আরাম পাবেন। তাছাড়া ১ চিমটি বেকিং সোডা আর একটু পানি নিয়ে মিশিয়ে ঘা এর উপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। ঘা এর উপর পিয়াজ দিলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন, কিন্তু অনেক ব্যথা বাড়বে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ঘা এর উপর ভেঙ্গে দিন। অথবা টি ব্যাগ ঘা এর উপর রেখে দিন। এতেও দ্রুত নিরাময় হয়।
৭) মিল্ক অফ মেগ্নেসিয়া ঘা এর উপর দিলে অনেক ভালো হয়। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

৮) প্রতিদিন টক দই খাবেন।

চিকিৎসা = দ্রুত কোনো হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435 //01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন
Face Book page : ( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *