মুখ গহ্বরের ফোঁড়ার চিকিৎসা

downloadফোঁড়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অ্যাবসেস। মুখের ভেতর ফোঁড়া হতে পারে মূলত দুটো উৎস থেকে। একটি মাড়ি থেকে এবং আরেকটি দাঁতের শিকড় থেকে। মাড়ির ফোঁড়াকে বলা হয় পেরিওডন্টাল অ্যাবসেস। দাঁতের শিকড় থেকে যে ফোঁড়া হয়, তা পেরিএপিক্যাল অ্যাবসেস।
লক্ষণ ও উপসর্গ : মুখ গহ্বরে অ্যাবসেস হলে আক্রান্ত স্থান ফুলে যাওয়া, ব্যথা করা, মুখ খুলতে ও খেতে অসুবিধা হওয়া, জ্বর আসা, নিচের চোয়ালের গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, মুখ গহ্বরের আক্রান্ত স্থানের গাল ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। মুখের ভেতরে পুঁজনালি বা ফিস্টুলা সৃষ্টি হতে পারে। তা চোয়ালের হাড় ভেদ করে গাল পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। এ পুঁজনালিপথে ফোঁড়া থেকে পুঁজ নির্গত হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে সংক্রমণ তীব্রতর হয়ে চোয়ালের নিচের ফাঁকা স্থানে পুঁজ জমা হয়ে তৈরি করতে পারে স্পেস ইনফেকশন নামক জটিল সমস্যা। যথাসময়ে চিকিৎসা না করালে শ্বাসরোধ হয়ে রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
কারণ : মাড়ি থেকে ফোঁড়ার সূত্রপাত হয় দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলের ফাঁকা জায়গায় জীবাণু সংক্রমণের কারণে। দীর্ঘকালীন মাড়িরোগের যথাযথ চিকিৎসা না করালে তা গুরুতর হয়ে মাড়ির ভেতরে পকেট বা ফাঁকা স্থান তৈরি করে। সেখানে জীবাণুবিস্তার ঘটে। তখন দাঁতের চারপাশের হাড় আক্রান্ত হয়ে ক্ষয়ে যায় ক্রমেই। এখানে জমা হয় পুঁজ। আক্রান্ত স্থান ফুলে ওঠে, সৃষ্টি হয় মাড়ির ফোঁড়া বা পেরিওডন্টাল অ্যাবসেস। দাঁতের শিকড় থেকে ফোঁড়া সৃষ্টির জন্য দায়ী দাঁতের মৃত মজ্জা। দাঁতের ভেতর যে মজ্জা বা পাল্প থাকে, তা মরে গেলে জীবাণু সংক্রমণ হয়। এ সংক্রমণ দাঁতের শিকড় ভেদ করে শিকড়ের বাইরে শেষপ্রান্তে ও শিকড়ের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তৈরি হয় পেরিএপিক্যাল অ্যাবসেস নামক ফোঁড়া।
রোগ নির্ণয় : বেশি ফুলে ওঠা ফোঁড়া খালি চোখেই দেখা যায়। আঙুল দিয়ে চাপ দিলে তা তুলতুলে অনুভূত হয়। আক্রান্ত দাঁতে যন্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ব্যথা অনুভূত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফোঁড়া খালি চোখে দেখা যায় না। হাত দিয়েও তা অনুভব করা যায় না। এক্ষেত্রে ফোঁড়ার উৎস নিশ্চিত করার জন্য এক্স-রে করার দরকার হয়। ফোঁড়ার কারণে মুখ গহ্বরে পুঁজনালি বা ফিস্টুলা তৈরি হলে পুঁজনালির ভেতরে ‘গাটা পারচা’ নামক রাবার জাতীয় নমনীয় চিকন পদার্থ ঢুকিয়ে এক্স-রে করে ফোঁড়ার উৎস খুঁজে বের করা হয়।
চিকিৎসা : = এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ একমাত্র চিকিৎসা,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *