যেসব অনিয়মের কারণে কিডনি নষ্ট হয়

images-119
সৃষ্টিকর্তা যেন সবকিছু ভেবেই প্রতিটি প্রাণীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ বা জন্তু যাই হোক প্রাণীর যেসব অঙ্গ আছে তার সবগুলোই প্রয়োজনীয়। একটি ছাড়া আরেকটি অচল। একটি অঙ্গ কোন কারণে সবল না হলে দেহ হয়ে পড়ে অসার, অনেক সময় মৃত্যুরও কারণ হয়ে থাকে।

বেঁচে থাকতে মানবদেহের যেসব অঙ্গ সজীব থাকা খুবই জরুরি তা হলো কিডনি। সুস্থ মানবদেহে দুটো করে কিডনি থাকে। একটি নষ্ট হলে আরেকটি দিয়েও কাজ হয়। কিন্তু নষ্ট হওয়ার আগেই যদি যেনে রাখা যায় কি কি অনিয়মের কারনে কিডনি নষ্ট হয়, তা সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সাধারণ ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

যেসব কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে এবার সেগুলো জানিয়ে দিচ্ছি।

০১. পরিমান মতো পানি পান না করা। প্রতিদিন প্রতিটি মানুষেরই উচিৎ ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা। পানি ঠিকভাবে বা পরিমান মতো পান না করলে শুধু কিডনিই নয় দেহের অন্য অঙ্গও নষ্ট হতে পারে। যেমন যকৃতের ওপর চাপ পড়তে পারে। তাই প্রতিদিন পরিমান বা তার বেশি পরিমান পান করলে কিডনির উপর চাপ কম পড়ে।

০২. লবণ বা এসিডিক খাবার বেশী খাওয়া। আমাদের খাবারের মাঝে লবণের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরী। কারন লবনাক্ততা স্বাদকে একত্রিত করে। কিন্তু মাত্রাতিক্ত লবণ গ্রহনের ফলে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বেশী লবণ খাওয়া যাদের বদঅভ্যাস আছে তারা একটু চিন্তা করে লবণ খাবেন।

০৩. প্রতি অনেক কাজ থাকে সবারই। সময়ের কারনে অনেকেই প্রস্রাব আটকে রাখেন এবং তা দেরিতে ত্যাগ করেন। এটা মোটেও উচিৎ নয়। এতে করে কিডনির উপর মারাত্মক চাপ পড়ে।

০৪. নিজের প্রতি গাফিলতা একটা বড়ো কারণ। অনেকেই জানেন তার শরীরে সংক্রমন আছে কিন্তু সে অনুযায়ী চিকিৎসা করেননা। সংক্রমণ যদি বেশি পরিমানে ভিড় করে তবে কিডনি তো যাবেই সাথে অন্য অঙ্গও যাবে।

০৫. বেশি বেশি মাংস জাতীয় খাবার খাওয়া। অনেক সময় মাংস বদ হজমের কারন হয়। তাই বেশি মাংস খাওয়া কিডনি নষ্ট হওয়ার একটা বড় কারণ।

০৬. পরিমান মতো খাবার না খেলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। তাই ক্ষুধা হলে সাথে সাথেই খাবার খাওয়া দরকার।

০৭. অনিয়মিতভাবে ঔষধ সেবন করলে কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। তাই সঠিক সময় মতো ঔষধ সেবন করতে হবে।

০৮. নিয়মিত না ঘুমালে বা বিশ্রাম না নিলে কিডনির সমস্যাতো হয়ই সাথে শরীরের অন্য অঙ্গেরও সমস্যা হয়।

জ্ঞান মানুষের জীবনে কখনও ক্ষতির কারণ হয়না। বরং উপকার বয়ে আনে। নিজের প্রতি নিজের যত্নের বিষয়টাও জেনে রাখলে এবং সেই মতে নিয়মগুলো মেনে চললে সুস্থ থাকা যায়।

তাইতো চিকিৎসকরা বলেন, প্রত্যেকেই যদি সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলে তাদের কাছে যাওয়ার দরকার হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *