যে ৬টি ভুলে নষ্ট করে ফেলছেন দেহের কিডনি দুটি!!

আমাদের শরীরের নানা বর্জ্য পদার্থ, অব্যবহৃত খাদ্য এবং বাড়তি পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করে কিডনি। দেহের নানা বর্জ্য পদার্থেক্ষতিকর টক্সিন থেকে আমাদের শরীরকে মুক্ত রাখার জন্য কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একারণেই আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য কিডনির সুস্থতা অনেক বেশি জরুরী।কিন্তু আমরা বেশিভাগ সময়েই কিডনির দিকে ঠিক মতো নিজ্র দিতে ভুলে যাই। আর শুধুমাত্র এই কারণে প্রতিবছর অনেক মানুষ কিডনির সমস্যায় পড়ে থাকেন। এবং কিডনির

কিডনির প্রতি আমাদের ঠিকমতো নজর না দিয়ে কিডনির রোগে আক্রান্তের জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। প্রতিনিয়ত আমরা এমন

কিছু অনিয়ম করে থাকি যার প্রভাব সরাসরি পড়ে আমাদের কিডনির ওপর। কিন্তু আমাদের নিজের ভালোর জন্য আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

চলুন তবে কিডনির ক্ষতির জন্য দায়ী অনিয়মগুলো জেনে নিই এবং সতর্কতার সাথে এই অনিয়মগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।

মদ্যপান করা:-

মদ্যপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। অ্যালকোহল কিডনি আমাদের দেহ থেকে সঠিক নিয়মে নিস্কাশন করতে পারে না।

ফলে এটি কিডনির মধ্যে থেকেই কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে কিডনি নষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্তান্ত হন অনেকেই।

এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা…
কিডনির সুরক্ষার জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি। আমরা অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করি না। এতে ক্ষতি হয় কিডনির।

বাসা থেকে বাইরে বের হলেই অনেকের পানি পানের কথা মনে থাকে না। কিন্তু এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা অত্যন্ত জরুরী। তাই সাথে সব সময় পানির বোতল রাখুন।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া:-

অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার বাজে অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খান অনেকেই।

কিন্তু এই অনিয়মটির কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে কিডনির। কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না।

ফলে বাড়তি লবনের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিডনি। এমনকি কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

মাংস বেশি খাওয়া:-

অনেকের একটি বড় বাজে অভ্যাস রয়েছে যা হলো মাংসের প্রতি আসক্ততা। অনেকেই শাকসবজি ও মাছ বাদ দিয়ে শুধু মাংসের উপর নির্ভরশীল থাকেন।

এই অনিয়মটিও কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিডনির সুরক্ষার জন্য মাছ ও শাকসবজি অনেক বেশি জরুরী। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই খাদ্যাভ্যাসটা ঠিক করুন।

অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া:-

অনেকেই সামান্য ব্যথা পেলেই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে মাথাব্যথার কারণে অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন।

কিন্তু এটি কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কাজ। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরণের ব্যথানাশক ঔষধ কিডনির কোষগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে যায় কিডনি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও কোনো ব্যথানাশক ঔষধ খাবেন না।

পস্রাব আটকে রাখা :-

ঘরের বাইরে বেরুলে অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। মনে করেন খনিক্তা সমত পস্রাব আটকে রাখলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না।

আপাত দৃষ্টিতে এর ক্ষতির মাত্রা ধরা না পরলেও এটি কিডনিকে নষ্ট করে দেয় খুব দ্রুত। পস্রাব আটকে রাখলে কিডনির ওপর অনেক বেশি চাপ পরে এবং কিডনি সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

তাই ভুলেও এই কাজটি করতে যাবেন না। বাসায় ফেরার জন্য অপেক্ষা না করে অন্য উপায় খুঁজে নিন। এতে করে কিডনি থাকবে সুস্থ

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল

মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর

01711-943435
ইমো  01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ইমেইল- dr.zaman.polash@gmail.com

ওয়েব সাইটwww.zamanhomeo.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *