যৌনশক্তি বৃদ্ধির ৬ উপায় ঳ ভিডিও সহ

1013823_263365403802959_560807647_n

: যৌন শক্তির সঙ্গে খোরমা ও খেজুরের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।

এ কারনেই বিবাহ-শাদীতে খোরমা-খেজুর বিলি করার আদিম রীতি চলে আসছে। খোরমা খেজুর চুষলে পিপাসা দমন হয়। অধিকাংশ হালুয়া তৈরীতে এ কারণেই খোরমা ও খেজুর ব্যাবহার করা হয়। চিকিতসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গ্রন্থেও খোরমা ব্যবহার যৌন শক্তির জন্য উপকারী বলা হয়েছে। “মা জুনে আরদে খোরমা” ইউনানী চিকিতসার একটি প্রসিদ্ধ হালুয়া।

খেজুরের উপকারিতার কথা তো বলাই বাহুল্য। প্রসূতির জন্য তাজা খেজুরের ন্যায় উত্তম খাদ্য আর নেই। তাজা খেজুর না পাওয়া গেলে শুস্ক খেজুরই যথেষ্ট।
.
খেজুরের চেয়ে আর কোন উত্তম জিনিষ থাকলে আল্লাহ তা’আলা মরিয়াম (আঃ) কে ঈসা (আঃ) এর জন্মের পর তাই খাওয়াতেন। কুরআনে কারীমের সূরা মরইয়মে আল্লাহ তা’আলা হযরত মরইয়ম (আঃ) কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, খেজুরের ডাল ধরে নাড়া দাও, তুমি তরতাজা সুপক্ক খেজুর পেয়ে যাবে। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রসূতির জন্য খেজুরের চেয়ে উত্তম খাবার দ্বিতীয়টি আর নেই।

হাকীমগন লিখেছেন, খেজুর খেলে নেফাসের রক্ত যা দ্বারা দেহের ভিতরের আবর্জনা বের হয়ে যায় -তা অধিক পরিমানে নির্গত হয় এবং স্ত্রীর স্বভাবে উত্তাপ সৃষ্টি হয় ও দৈনিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর দেহের শিরা কোমল করে এবং প্রসবের ফলে শিরায় খিচুনির ফলে “আকটান পেইন” নামক যে ব্যাথা সৃষ্টি হয় তা দূর করে।

index

১ মধু:
আবু নাঈম হযরত আয়েশা (রায়িঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল¬াম এর নিকট মধু খুব বেশী প্রিয় ছিল।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ল¬ামের নিকট মধু এ জন্য বেশী প্রিয়ছিল যে, আল্লাহ তা’আলা বলেন, এর মধ্যে মানব জাতির রোগ নিরাময় রয়েছে। হাকীমগণ মধুর অসংখ্য উপকারিতা লিপিবদ্ধ করেছেন। সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারী।

মধু এবং দুধ হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। দুনিয়ার সকল ডাক্তার একত্র হয়ে এমন নির্যাস প্রস্তুত করতে চাইলে কখনোও পারবে না। এটা শুধু মহান আল্লাহ পাকেরই শান যে, তিনি বান্দার জন্য এমন উত্তম ও বিশেষ উপকারী নির্যাস পয়দা করে দিয়েছেন।

২ দুধ:
আবু নাঈম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর কাছে পানীয় দ্রব্যের মধ্যে দুধ সবচেয়ে বেশী প্রিয় ছিল।
আলেমগন লিখেন, এর রহস্য হলো এই যে, দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য পয়দা করে, চেহারা লাল বর্ণকরে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।

index৩

৩ রসুন :
ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ) “জামউল জাওয়ামে” নামক গ্রন্থে দায়লামী থেকে একটি বর্ণনা উদৃত করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা রসুন খাও এবং তদ্দারা চিকিতসা করাও। কারণ, এতে রোগ নিরাময় হয়।
ডাক্তারদের মতেও রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে।

রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, পেশাব জারী/স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নিস্তেজ লোকদের মধ্যে যৌন ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বীর্য বৃদ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বীর্য গাঢ় করে, পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে।

তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যাবহার ক্ষতিকর। এই রসুনকে আবে হায়াত বলেও আখ্যা দেয়া হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কাঁচা রসুন খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন।

৪ যাফরান :
পাকস্থলী, হৃদপিন্ড, ও যকৃতের কার্যমতা বৃদ্ধি করে। অন্যান্য ঔষধের সঙ্গে যাফরান মিশ্রণ করলে ঔষধের কার্যমতা বৃদ্ধি পায়। এটা দারুন রতিবর্ধক। মন-মস্তিস্ক এবং দৃষ্টি শক্তির জন্যও যাফরানের জুড়ি নাই।

index৭

৫ জয়ফল যত্রিক ও দারুচিনি:
অত্যাধিক রতিশক্তি বর্ধক। বৃদ্ধদের জন্য বিশেষভাবে বার্ধক্যে লাঠির কাজ দেয়। মাংস পেশী ও গিরার ব্যাথায় উপকার সাধন করে।

৬ লম্বা মরিচ:
একে ছোট পিপুলও বলা হয়। মস্তিস্কের শক্তি বর্ধক, পাকস্থলী ও রতিশক্তি বর্ধক, দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে ও কফের দোষ দূর করে। পিপুল দুধের সাথে জোশ দিয়ে পান করা উপকারী।

index৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *