লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার

Liver-cancerলিভার সিরোসিস শুনলেই মনে আসে আরেকটি ভয়াবহ রোগের নাম- ‘লিভার ক্যান্সার’| লিভার সিরোসিস আর লিভার ক্যান্সার বহু মানুষের কাছে একই ধরনের অসুখ। এর কারণ লিভার সিরোসিস থেকে অনেক সময় লিভার ক্যান্সার হয়। অথচ রোগ দুটি এক নয়।

সিরোসিস কী
সিরোসিস লিভারের একটি ক্রনিক (দীর্ঘমেয়াদি) রোগ, যাতে লিভারের সাধারণ গঠন বা আর্কিটেকচার নষ্ট হয়ে যায়। ফলে লিভার হারায় তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা। অনেক ক্ষেত্রেই লিভার সিরোসিস থেকে লিভার ক্যান্সারও দেখা দিতে পারে। তবে এসব কোনো কিছুই হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোকের মতো সহসা ঘটে না। সিরোসিস আক্রান্ত রোগী বহু বছর পর্যন্ত কোনো রকম রোগের লক্ষণ ছাড়াই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। তবে ধীরে ধীরে অজ্ঞাতেই লিভারে দেখা দিতে বড় অসুখ। লিভার সিরোসিসের প্রাথমিক পর্যায়ে বা কম্পেনসেটড স্টেজে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। রোগের লক্ষণ আর কষ্টগুলো দেখা দেয় ডিকম্পেনসেটেড বা অ্যাডভান্সড সিরোসিস স্টেজে।

সিরোসিসের লক্ষণ
প্রাথমিক বা কম্পেনসেটেড সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তির তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না বললেই চলে। অনেক সময় রোগীরা দুর্বলতা, সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, দাঁতের মাড়ি বা নাক থেকে রক্ত পড়া, পেটের ডান পাশে ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব, ঘন ঘন পেট খারাপ হওয়া ইত্যাদি সমস্যা অনুভব করতে পারেন।
অ্যাডভান্সড সিরোসিসে চিত্রটি কিন্তু একদম বদলে যায়। এ সময় পায়ে-পেটে পানি জমে, জন্ডিস হয় এবং রোগী এমনকি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। রক্তবমি ও পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, ফুসফুসে পানি আসা, কিডনি ফেইলিওর, শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। আর এ স্টেজেই সিরোসিস থেকে লিভারে দেখা দিতে পারে ক্যান্সার।

কেন হয়?
দেশভেদে সিরোসিসের কারণগুলোও বিভিন্ন। ইউরোপ ও আমেরিকায় সিরোসিসের প্রধান কারণ অ্যালকোহল আর হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস। বাংলাদেশে প্রায় আড়াই হাজার রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে চিকিৎসকরা দেখেছেন, এখানে লিভার সিরোসিসের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস, আর ঠিক পরই রয়েছে ফ্যাটি লিভার। হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস ও অ্যালকোহলের স্থান বাংলাদেশে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস ও ফ্যাটি লিভারের অনেক পরে।
ফ্যাটি লিভার নানা কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস, ডিজলিপিডেমিয়া (রক্তে চর্বি বেশি থাকা), ওবেসিটি (মেদভুঁড়ি), উচ্চ রক্তচাপ আর হাইপোথাইরয়ডিজম ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী পরবর্তী সময়ে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়।

সিরোসিস হলে কী করবেন?
সিরোসিসে আক্রান্ত যেকোনো ব্যক্তির উচিত দ্রুত লিভার বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেওয়া ও নিয়মিত ফলোআপে থাকা। এতে দীর্ঘদিন ভালো থাকা যায়। পাশাপাশি সিরোসিসের কারণ শনাক্ত করে তার চিকিৎসা করা গেলে লিভারের খারাপের দিকে যাওয়ার ঝুঁকিও অনেক কমে যায়। লিভার সিরোসিস ও এর কারণগুলোর আধুনিকতম চিকিৎসা কিন্তু হোমিওপ্যাথিতেই সম্ভব

প্রভাষক.ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435 //01670908547
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog

Face Book page : ( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *