লিভার সিরোসিস প্রতিরোধে করণীয়

লিভার সিরোসিস মানুষের যকৃতের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ফল যা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত থেকে সৃষ্টি হতে পারে এবং মারাত্মক পর্যায়ের সিরোসিসে যকৃৎ-এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সহজ করে বলতে গেলে, লিভার সিরোসিস হচ্ছে লিভারের অসুখের সবচেয়ে শেষ অবস্থা। এটা একদিনে হয় না। লিভারের সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে তা সিরোসিসের রূপ নেয়। এটা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। লিভার সিরোসিসের কোনো চিকিৎসা নেই। এ কারণে প্রতিরোধই পারে এ রোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমাতে। লিভার সিরোসিস প্রতিরোধে যা করণীয়-

♣১. অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান লিভার সিরোসিসের অন্যতম কারণ।সাধারণত ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি থাকে।

♣২. লিভারে প্রদাহ সিরোসিসের আরেকটি কারণ। সাধারণত এ,বি, সি ভাইরাসের আক্রমণ করলে লিভার সিরেসিস হতে পারে।এগুলো রক্তদান বা গ্রহণের সময় শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে রক্ত দেওয় বা নেওয়ার আগে রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। সেই সঙ্গে এসব ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা দিতে পারেন।

♣৩. মসলাদার, জাঙ্কফুড, প্রক্রিয়াজাত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

♣৪. রাস্তাঘাটে সহজপ্রাপ্য খাবার না খাওয়াই ভাল। বরং দৈনিক খাদ্য তালিকায় বেশি করে শাকসবজি রাখুন এবং কম তেলযুক্ত খাবার খান।

♣৫. গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ২ থেকে ৩ বার কফি খান তাদের লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় কম থাকে।

♣৬. কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন শরীরের টক্সিনকে বের করতে সাহায্য করে। তাই প্রতি দিন খাদ্য তালিকায় কিছুটা কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন রাখুন।

♣৭. শরীরের কোথাও ব্যথা বাড়লেই তা সহ্য না করে যখন তখন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ব্যথানাশক ওষুধে ব্যবহৃত নানা উপাদান লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে লিভারের ক্ষতি করে।

♣৮. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

♣৯. কেউ হেপাটাইসিস বি বা সি তে আক্রান্ত হলে স্ক্রিনিং করুন। লিভার সিরোসিস প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে তা অনেকক্ষেত্রে নিরাময় করা সম্ভব।

সূত্র: ওয়েব এমডি