বাড়ছে, জনসংখ্যা। উজাড় হচ্ছে, বন। তাই গৃহপালিত পশু-পাখির পাশাপাশি বন্য প্রাণির সাথেও যোগাযোগ বাড়ছে মানুষের। গবেষকরা বলছেন, প্রতি ৮ মাসে একটি করে রোগ ঢুকছে, মানব দেহে। যার শতকরা ৮০ ভাগই আসছে, প্রাণি থেকে। পরিত্রাণ পেতে জাতিসংঘ হাতে নিয়েছে, এক বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মসূচী।
যার মূল কাজ হলো, রোগের উৎপত্তিস্থল বিনাশ করা।
ইবোলা। মাত্র তিন মাসেই বিনাশ করেছে বিশ্বের ৮ হাজার মানুষকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানবেদহে ইবোলা ভাইরাসের বিস্তার হয়েছে বাদুরের মাধ্যমে।
শুধুই কী ইবোলা? বিজ্ঞানীরা বলছেন, মরণ ব্যাধী এইডসের জীবানু এইচআইভির উৎপত্তি বানর থেকে। এনথ্রাক্স জীবানু এসেছে গরু থেকে, নিপা ভাইরাস মানুষে সংক্রমণ করেছে বাদুর, ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস সংক্রমন মুরগী থেকে মানুষে। তাদের দাবি, এই ভাবে প্রতিনিয়ত মানব দেহে প্রবেশ করছে অগনিত রোগ।
বিজ্ঞানীরা আরো জানান, পৃথিবীতে প্রতি আট মাসে নতুন একটি রোগ। যার বেশীর ভাগই ছড়ায় গৃহপালিত ও বন্য প্রাণি থেকে । আর অন্যগুলো ছড়ায় পরিবেশের বিভিন্ন স্তর থেকে।
প্রাণিবাহিত রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে আফ্রিকার কয়েকটি দেশের মতো বাংলাদেশও ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আর এর অন্যতম দুটি কারণ, অধিক জনসংখ্যা এবং প্রতিনিয়ত বন উজাড়।
পানিবাহিত রোগ থেকে কিভাবে মানুষও রেহাই পেতে পারে,তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে জাতিসংঘ শুরু করেছে এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্য কর্মসূচী। যার আওতায় রয়েছে বাংলাদেশও। এই প্রকল্পের মুল কাজ হলো সাধারণ মানুষকে রোগ সচেতন করা। প্রাণিবাহিত রোগ উৎপত্তি স্থলেই নির্মুল করা। যার তত্ত্বাবধায়ন করছে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা।
তাই মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাণি স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।