কানে খৈল জমে অনেক সময় ব্যথা হয়। অনেক মা-বাবা আছেন- যারা কানে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য কটনবাড দিয়ে বের করে আনার চেষ্টা করেন। যারা এ কাজটি করছেন, তারা ঠিক করছেন না।
প্রকৃতপে কান পরিষ্কার করার দরকার নেই। প্রকৃতিগতভাবেই কান পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। অধিকাংশের কানই নিজ থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। হঠাৎ কারও কারও কান পরিষ্কার করার দরকার পড়ে। যদি কান পরিষ্কার করার দরকার পড়েই যায়, তাহলে ওই কাজটি নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞকেই করতে দেওয়া ভালো। তা না হলে সমস্যা হতে পারে। অধিকাংশ েেত্র পরিষ্কার করতে গিয়ে ময়লা কিছুটা বের করে আনার সময় ধাক্কা খেয়ে কিছুটা ভেতরে চলে যায়। এ ময়লাটুকু আর স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারে না। এভাবে বারবার পরিষ্কার করার কারণে একটু করে ময়লা বাড়তে থাকে এবং তা কানের পথ রুদ্ধ করে দিলে ব্যথা হয়। এছাড়া পরিষ্কার করতে গিয়ে খোঁচা খেলে কানের মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোনো নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ খুব সহজেই কান দেখে বুঝে নিতে পারেন কানের ভেতরকার অবস্থা। কানের ভেতরে ময়লা থাকলে তা বের করে দেওয়ারও ব্যবস্থা করবেন তিনি।
ময়লা খুব শক্ত হলে করণীয় : ময়লা বের করে আনা একটু কঠিন এক্ষেত্রে। এতে শিশু কিছুটা ব্যথা পেতে পারে। অনেক সময় সে ভয়েই অস্থির থাকে। তখন কান পরিষ্কার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এসব েেত্র তার কান পরিষ্কার করতে না গিয়ে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে ময়লাটি বের করে আনার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত সোডিবাইকার্বের দ্রবণ দিয়ে কান পরিষ্কার করার কাজটি করা হয়। এ দ্রবণ কানের ময়লা গলিয়ে কান থেকে বের করে দেয়। এ ওষুধে কান পরিষ্কার হতে ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগে। কান পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর আর কখনো শিশুর কান পরিষ্কার করতে যাওয়া ঠিক হবে না। এতে ঘটনার পুনরাবৃত্তিই ঘটবে। তবে তার কানে ময়লা জমেছে মনে করলে অলিভ অয়েল ৪ থেকে ৫ ফোঁটা করে দৈনিক তিনবার একাধারে ১০ দিন দিতে পারেন। এতে কান পরিষ্কার থাকবে।
★ পোস্ট ভাল লাগলে লাইক ★ শেয়ার করে পেইজে একটিভ থাকুন।
( প্রতি মুহুর্তের চিকিৎসা বিষয়ক খবর গুলো নিয়মিত পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ) https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall