শীতকালীন সায়াটিকার ব্যথা ও করণীয়

image_12374
ডাঃ এস.জামান পলাশ
………………
সায়াটিকার সমস্যা যাদের আছে শীত এলেই তাদের ব্যথার বেড়ে যায়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ব্যথা বাড়া-কমার একটা সম্পর্ক আছে। এ

কারণে যাদের ব্যথা আছে তাদের দৈনন্দিন জীবনধারণ খুবই কষ্টের হয়। এ সময় কোমরের ও পায়ের ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে। শীতে মাংসপেশি ও নার্ভ শক্ত হতে পারে। কারণ এ সময় শরীর রক্ত চলাচল কম হয়। শীতে কোমর বা অন্যান্য জয়েন্টের মাংসপেশিতে ক্র্যাম্প বা টান বেশি লাগে। এতে মেরুদণ্ডের মাংসপেশির ভারসাম্য কমে যায়। ফলে মেরুদণ্ডের ডিক্সের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে ডিক্স প্রলাপ্স হয়। ব্যথা পায়ে চলে গিয়ে সায়াটিকার উৎপত্তি হয়।

সায়াটিকার কারণ

১. মেরুদণ্ডের হাড় সরে (স্পনডাইলোসিসথিসিস) গিয়ে যদি সায়াটিক নার্ভে চাপ দেয়।
২. পাইরিফরমিস মাংসপেশি শক্ত হয়ে গেলে।
৩. ডিস্ক প্রলাপ্সের কারণে কোমর থেকে জেলি বের হয়ে নার্ভের ওপর চাপ দিলে।
৪. ডিজেনারেশন বা স্পনডাইলোসিস হলে (কোমরের হাড় ক্ষয় বা বেড়ে যাওয়া)।
৫. মেরুদণ্ডের নার্ভ চলাচলের রাস্তা (স্পাইনালক্যানেল স্টেনসিস) সরু হলে।
৬. গর্ভাবস্থায় সায়াটিকার ব্যথা হতে পারে।
৭. আঘাতজনিত কারণে সায়াটিক নার্ভের ব্যথা হতে পারে।
শীতে সায়াটিকার কিছু টিপস
১. বাইরে বের হওয়ার আগে ও মাংসপেশি অথবা জয়েন্টের স্ট্রেচিং করতে হবে।
২. হঠাৎ অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কাজ না করা। এতে পায়ের শিন শিন ব্যথা বা ঝিন ঝিন হতে পারে।
৩. পায়ে মোজাসহ সঠিক শীতের পোশাক পরতে হবে। যাতে শরীর এবং পা স্বাভাবিক গরম থাকে। এতে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হয়।
৪. প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা।222
৫. শরীরের ওজন সঠিক রাখা এবং পায়ের ব্যথা অবস্থায় বেশি হাঁটাহাঁটি না করা।
৬. তোষকের বিছানা ব্যবহার করা।
৭. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। বেশি করে শীতের সবজি খাওয়া। নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা।

কিভাবে বুঝবেন আপনার সায়াটিকা হয়েছে?

১. ব্যথা কোমর থেকে নিচের দিকে গেলে।
২. পা ঝিন ঝিন, জ্বালাপোড়া, ভারি ভারি এবং অবশ অবশ হলে।
৩. পায়ের ব্যথাটা শিন শিন বা কালাইয়া নিতে পারে।
৪. বেশির ভাগ সময় হাঁটলে ব্যথা বেড়ে যায়। তবে রাতে ঘুমে অথবা বসে থাকলেও সায়াটিকার ব্যথা হতে পারে।
৫. শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠলে সায়াটিকার ব্যথা বেশি হয় এবং কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করলে কমে যায়।
৬. পা দুর্বল লাগাটা সায়াটিকার খারাপ খবর।
৭. কাশি দিলে কোমর বা পায়ে ব্যথা হতে পারে। পায়ে টান লাগতে পারে।
৮. শরীরের অতিরিক্ত ওজন, হাইহিল অথবা উঁচু জুতা পরলে, অতিরিক্ত নরম বিছানা ব্যবহার করলে ব্যথা বাড়তে পারে।

চিকিৎসা —————-

একমাত্র চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি।অন্যকোনো চিকিৎসা ব্যাবস্থায় এ রোগ ভালো হয় না,সাময়িক উপশম লাভ করা যায় মাত্র,তাই সবাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিবেন
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *